ধর্ষণের অভিযোগে শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক জেলহাজতে


নোমান হোসেন আখন্দ
শাহরাস্তিতে ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এক কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল বুধবার দুপুরে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। একই দিন দুপুরে ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সোহেল উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের মৃত আহছানের ছেলে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহআলমের নেতৃত্বে এ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে পুলিশ। এ দিন ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রীর বাবা তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামি হলেন- উপজেলার সেনগাঁও গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে জাকারিয়া হোসেন (৩৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন উত্যক্ত করতো সোহেল। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক প্রায়সময়ে ধর্ষণ করে সোহেল। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যায় সে।
সর্বশেষ গত শনিবার বিকালে আসামি জাকারিয়ার মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতার মাছের ঘেরের কাছে ঢেকে নিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। সেখানে জাকারিয়ার সহযোগিতায় জোরপূর্বক কয়েকবার ধর্ষণ করে সোহেল এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে এসিড মারাসহ হত্যার হুমকি দেয়ে সে। ছাত্রীর বাবা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে মোবাইল ফোনে তাদের হত্যার হুমকি দেয় তারা।
ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন, তিনি পেশায় একজন নৈশপ্রহরী। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের দিয়ে উল্লেখিত বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহআলম জানান, মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে এবং ওই ছাত্রীকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।