মতলব উত্তরে অবৈধ যানবাহনের চাপে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন!

মনিরুল ইসলাম মনির
মতলব উত্তর উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ যানবাহনের উচ্চমাত্রার শব্দে এখন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন (উচ্চমাত্রার) যুক্ত করে যানজটে উচ্চৈশব্দের প্রতিযোগিতায় নামছে চালকরা।
কয়েক হাজার ইজিবাইকের পাশাপাশি মোটরচালিত রিকশা, সিএনএজি ও থ্রি-হুইলারসহ (মাহিন্দ্র) ৫ সহস্রাধিকের চেয়েও বেশি যানবাহন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে উপজেলাতে। রাস্তায় চলে ছয়চাকা ট্রাক্টর, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি ফলে দিন-রাত এসব বৈধ-অবৈধ যানবাহনের উচ্চমাত্রার হর্নের শব্দে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে পড়ছে পথচারীরা।
কাউসার মেহেদী জানান, দিনে দিনে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। যানবাহনের অতিরিক্ত শব্দে সড়কের পাশে বাসাবাড়িতে মানুষ বসবাস করতে পারছে না। তিনি নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন অনুযায়ী অতিরিক্ত শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দাবি জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানান, পরিবেশ বিধিমালা ১৯৯৭ অনুযায়ী স্বাভাবিক শব্দের মাত্রা ৭০ এবং শিল্প এলাকায় ৭৫ ডেসিবেল। কিন্তু হাইড্রোলিক হর্নে ১০০ ডেসিবেলের চেয়ে বেশি শব্দ হয়। আর মহানগরীর মধ্যে যে কল-কারখানা রয়েছে তাতেও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শব্দ হচ্ছে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, শব্দদূষণে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। একসময় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। নিয়মিত শব্দদূষণ স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি বিনষ্ট করে এবং একপর্যায়ে কৃত্রিম যন্ত্র দিয়েও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি শুনতে পান না। আর এ ধরনের সমস্যার পাশাপাশি শব্দদূষণে আক্রান্ত ব্যক্তির মেজাজ খিটখিটে থাকাসহ মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব পড়ায় কখনো কখনো অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন বাস্তবায়নে প্রতিদিনই উপজেলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি পুলিশিং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। নতুন আইন অনুযায়ী উচ্চমাত্রায় শব্দ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।