কামরুল হাসান জনির দ্বিতীয় উপন্যাসগ্রন্থ ‘ফেরা’ নিয়ে কিছু কথা।

 আরব আমিরাত প্রতিনিধিঃ কামরুল হাসান জনির কাছে তার উপন্যাস সম্বন্ধে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিভিন্ন সময় অনেকেই বলেছেন, ‘সাধারণ প্রবাসীদের নিয়ে কিছু লিখুন, তাদের জীবনধারা চিত্রায়িত করুন আপনার লেখায়’। সে হিসেবে, আমারও বেশ ইচ্ছে ছিল দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখা রেমিটেন্স সৈনিকদের নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্য কিছু লিখবো। মাঝে মধ্যে প্রসঙ্গ টেনে খবর লিখি। জানি, কাগজে বা অনলাইনে প্রকাশিত সেসব খবর পাঠকদের অন্তরে বেশি দিন টেকে না। ঘামে ভেজা, ক্লান্তি ভরা চেহারাগুলো পাঠকরা সহসা ভুলে যান। তাই ভাবতে হলো ভিন্ন কিছু। ভাবনায় খেলা করা কথাগুলো ধীরে ধীরে কী-বোর্ডের দয়ায় একসময় প্রাণ পেতে শুরু করে। কঠিন বাস্তবতার নিরীক্ষে বিচার করতেই খুব কাছাকাছি দেখতে ও দেখাতে হয়েছে দেশ হতে হাজার মাইল দূরে থাকা এই মানুষগুলোকে। তাদের পরিবার ও প্রিয়জনের প্রতি প্রেম-ভালবাসা, মায়া এমনকি সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি, আনন্দ ও বিসর্জনের ছোট ছোট কাহিনীগুলো লিপিবদ্ধ করেছি ৭ ফর্মার এই গ্রন্থে। সঙ্গত কারণে এতে প্রবাসের রাজনীতি ও নানা সংগঠনের কর্মকাণ্ডও উঠে এসেছে। ‘ফেরা’ আমার দ্বিতীয় উপন্যাসগ্রন্থ। এবারও লিখা প্রকাশ করার সার্বিক দায়িত্ব নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব, দুবাই। এজন্যে ক্লাবের সভাপতি শ্রদ্ধেয় নওশের আলী ভাইয়ের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব রায়। প্রকাশের পূর্বেই পাণ্ডুলিপি পড়ে ভূমিকা লিখেছেন কথাসাহিত্যিক শ্রদ্ধেয় স্বকৃত নোমান ভাই। এছাড়াও প্রুফ দেখাসহ প্রকাশনার বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞ করেছেন কথাসাহিত্যিক নূর কামরুন নাহার আপু। বইটি ঢাকায় বইমেলা ২০১৬-তে পাওয়া যাবে। উপন্যাসের ভাল-মন্দ দিক ও সমালোচনা করার বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাকিটুকু পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।