ঘাট ছেড়েছে ৩টি লঞ্চ : নৌযান ধর্মঘটে চাঁদপুরে যাত্রীদের ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার
১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে চাঁদপুর নৌবন্দর থেকে শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। দুপুর ১২টার পরে ৩টি লঞ্চ ঢাকা ও মুলাদীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আরো একটি লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এমভি সোনারতরী-২ ও এমভি বোগদাদিয়া-৭। তবে যাত্রীর সংখ্যা অন্য দিনে তুলনায় অনেকটা কম। লঞ্চঘাটে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা রয়েছে। কোন শ্রমিককে ঘাটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
চাঁদপুর বন্দরের দায়িত্বরত পরিদর্শক শাহ আলম জানান, সিডিউলের টাইম ছাড়াই সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ রুটের ৬টি চাঁদপুর ঘাটে এসেছে। এর মধ্যে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে চাঁদপুর ঘাট থেকে এমভি শরীয়তপুর-১ মুলাদির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুপুর ১টায় মিরাজ-২ এবং বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে এমভি সোনারতরী-২ চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
বন্দরের আরেক পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ৬টি লঞ্চই আবার চাঁদপুর ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। অন্য কোন লঞ্চ না থাকায় সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। পুলিশ থাকলেও আমাদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বশেষ বিকাল ৫টায় চাঁদপুর ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এমভি বোগদাদিয়া-৭। চাঁদপুর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ছেড়ে যায় ২৩টি লঞ্চ। এসব লঞ্চ ডাকাতিয়া নদীর পুরনো লঞ্চঘাট এলাকায় নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। এছাড়া নারায়নগঞ্জ রুটের এমএল নিলু ও হেদায়াত নামে দু’টি লঞ্চ চাঁদপুরে এসেছে। এ দু’টি লঞ্চও সন্ধ্যার আগে নারায়নগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, সকাল থেকেই লঞ্চঘাটের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল পুলিশ ও নৌ-পুলিশ ঘাটে দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদে যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছি। যে ক’টি লঞ্চ এসেছে এবং ছেড়ে গেছে কোন ধরনের সমস্যা হয়নি।