চাঁদপুরে অতিরিক্ত মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি

বাজেটে প্রস্তাবনার পরই


স্টাফ রিপোর্টার
সরকার ঘোষিত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়ের আগেই চাঁদপুরে তামাকজাতীয় পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বাজারজাত করছে পরিবেশক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিনিয়ত বাক-বিতন্ডা ও ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে। বাজেটের নাম করে সিগারেট কোম্পানীর পরিবেশক গায়ের মূল্য থেকে অতিরিক্ত টাকা নিতে শুরু করেছে চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে।
গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের ওয়ারলেছ বাজার এলাকায় খুচরা সিগারেট বিক্রেতাদের সাথে আলাপ করলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কোন উপায় না পেয়ে পরিবেশকদের বাড়ানো অতিরিক্ত মূল্যই সিগারেট ক্রয় করতে দেখাগেছে।
একই অবস্থা বিভিন্ন ব্র্রান্ডের জর্দ্দা কোম্পানীগুলোর। কাউছ কেমিক্যালের হাকিমপুরী জর্দ্দার ছোট প্লাস্টিক কৌটার দাম গত ১ সপ্তাহ ছিলো ২৫ টাকা। সংসদে বাজেট উপস্থাপনের দিন থেকে প্রতি কৌটা জর্দ্দা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। ব্যবসায়ীরা বলেন, জর্দ্দা কোম্পানীগুলো ৩০ জুনের পর থেকে আরো মূল্য বৃদ্ধি করবে বলে তাদের জানিয়েছেন।
ওয়ারলেছ বাজার এলাকার খুচরা সিগারেট বিক্রেতা সাগর জানান, ঈদের আগে স্টার সিগারেটের কার্টুন ছিলো ৯শ’ টাকা, এখন ক্রয় করতে হচ্ছে ১ হাজার ১শ’ টাকায়। বেনসন সিগারেট ছিলো ২ হাজার ১শ’ টাকা, এখন ক্রয় করতে হচ্ছে ২ হাজার ৪শ’ টাকা করে। সব সিগারেটেরই মূল্য বাড়িয়েছে।
একই এলাকার আরেক ব্যবসায়ী মো. লোকমান জানান, ঈদের আগে সিগারেট চাইলেও দেয়নি। ঈদের পরে এখন দিচ্ছে কিন্তু গায়ের মূল্যের চাইতে অনেক বেশি দরে। ১১০ টাকার সিগারেট ক্রয় করতে হয় ১৬০ টাকায়। কিন্তু কাস্টমার বলছেন গায়ের দরের চাইতে আপনারা বেশি নিচ্ছেন কেন? এ নিয়ে আমাদের প্রতিদিনই ঝগড়া-বিবাদ করতে হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা মুকু জানান, সিগারেটের গায়ের দর আগেরটাই রয়েছে। কিন্তু এখন বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঈদের আগে থেকেই সিগারেটের সংকট দেখিয়ে চাহিদার চাইতে কম দিয়েছে পরিবেশকরা। এখন গায়ের মূল্যের চাইতে বেশি দামে পরিবেশক থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী শহীদ জানান, পরিবেশকের প্রতিনিধিরা ঈদের আগে থেকেই সিগারেট দিচ্ছে না। এক ৫ প্যাকেট চাইলে ১ প্যাকেট দিচ্ছে, তাও বেশি দামে। স্টার, বেনসন ও গোল্ডলিফ সব সিগারেটেই একই অবস্থা। অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করতে গিয়ে কাস্টমারের সাথে জবাবদিহি করতে হয়।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানীর চাঁদপুরের পরিবেশক মেসার্স আব্দুল লতিফ এন্ড সন্সের দায়িত্বরত ম্যানেজারের সাথে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, প্রতিবছরই বাজেট ঘোষণাকালে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানীর চাঁদপুরের পরিবেশক সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেন। ফলে খুচরা দোকানদারদের সাথে ধূমপায়ীদের ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকে। এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ কেউই কোন পদক্ষেপ নেন না।