পাইকদিতে রান্না ঘরে অগ্নিকান্ডের অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পাইকদি গ্রামে সম্পত্তির পাওয়ার জন্য রান্নাঘরে অগ্নিকা-ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার জানিয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাকের ঘরে থাকা আসবাবপত্র, সিলিন্ডার গ্যাস, চাল, ডাল, তেলসহ যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়। এত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত নান্নু পাটওয়ারীর পরিবার জানান, আমার রান্না ঘরে একই বাড়ির মৃত মিয়া রাজা পাটওয়ারীর ছেলে সাদু পাটওয়ারী (৫০), লতিফ পাটওয়ারী (৫৫), মজিব পাটওয়ারীর স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৫) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোমবার দিবাগত রাতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়। এ মর্মান্তিক ঘটনার পর অভিযুক্তরাই ডাক-চিৎকার দিতে থাকে। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার সময় কয়েকজন আহত হয়েছে।
তারা জানান, লতিফ পাটওয়ারীদের সাথে সম্পত্তি নিয়ে মামলা ছিল। গতমাসে মামলাটি আমাদের পক্ষে আসার পর তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হয়রানি, হুমকি-ধমকিসহ ঘরের ভেতরে যাওয়ার পথের মধ্যে বেড়া দিয়ে রাখে। এ নিয়ে কয়েকবার তাদের সাথে আমাদের বাকবিতর্ক হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার গণ্যমান্যদের কয়েকবার বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু লতিফ পাটওয়ারী অনুসারীরা গায়ের জোরে সমাজের কারো কোন কথার তোয়াক্কা না করে ভাইয়ালি সম্পত্তির জন্য বিভিন্নভাবে আমাদের চাপ সৃষ্টি করে।
তারা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে নান্নু পাটওয়ারী পাকিস্তানে যান। সেখানে যাওয়ার সময় তিনি স্ত্রী, এক ছেলে এক মেয়ে রেখে যান। ছেলে বড় হয়ে মারা যাওয়ার পর নান্নু পাটওয়ারীর উত্তরসূরি স্ত্রী আর একমাত্র মেয়ে থাকেন। মেয়েকে বাড়ির পাশে বিয়ে দিয়ে নান্নু পাটওয়ারীর স্ত্রী একাই ঘরে থাকেন। বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে তারা নান্নু পাটওয়ারী স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন।
এলাকাবাসী জানান, ঘটনার দিন রাত ডাক-চিৎকার শুনে আমরা দৌঁড়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। অনেক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে স্থানীয়রা যার-যার বাড়িতে চলে যায়। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলাম যাদের সাথে দ্বন্দ্ব তারাই নাকি আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডাক-চিৎকার দেয়।
গ্রাম পুলিশ দিপালী জানান, ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর আমি সেখানে যাই। লতিফ পাটওয়ারীর মেয়ে আমাকে জানান, তারাই নাকি আগুন দেখে সবাইকে ডাক-চিৎকার দেয়। পরে সবাই এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।

০৪ সেপ্টেম্বর,২০১৯।