ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না অব্যহতিপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

চাঁদপুর আল আমিন একাডেমীর

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের অন্যতম সেরা বিদ্যাপিঠ আল আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না অব্যহতিপ্রাপ্ত সাবেক অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শাহাদাত হোসেন শিকদার। এ নিয়ে আবারও এই প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন করে ধূ¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ প্রহরায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ফলে আগের তুলনায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কমে গেছে।
গত রোববার প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে দেখা যায় এর প্রধান গেট এবং ভেতরে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ প্রহরাতেই বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছে। তবে একাডেমীর গভর্নিং বর্ডি কর্তৃক গত ২ মে সাবেক অধ্যক্ষকে অব্যাহতি দেয়া হলেও তিনি এখনো তার চেয়ারে আসীন রয়েছেন।
এদিকে সাবেক অধ্যক্ষ কর্তৃক দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেয়ায় নতুন করে দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মকবুল হোসেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড বরাবর অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগের অনুলিপি তিনি জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা অফিসসহ অন্যান্য দপ্তরে দিয়েছেন।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ১২ মার্চ কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চিঠিতে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে এডহক কমিটির দায়েরকৃত লিভ টু আপিল (১১৩৭/১৯) আপিলেট ডিভিশনে খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিলেট ডিভিশনে ফুল কোর্টে লিভটু আপিল নিষ্পত্তির খারিজ আদেশ প্রদান করেন। ফলে একাডেমীর এডহক কমিটির কার্যকারিতা বাতিল হয় এবং একডেমীর নিয়মিত গভর্নিং বডি বহাল থাকে। একাডেমীর নিয়মিত গভর্নিং বডি কর্তৃক প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম পরিচালনার আইনগত বৈধতা পাওয়ার পর গত ৩০ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শাহাদাত হোসেন শিকদারকে ২ মে থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। একই সাথে একাডেমী সহকারী অধ্যাপক মকবুল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এখনো দায়িত্ব হস্তান্তর করছেন না।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শাহাদাত হোসেন শিকদার বলেন, একাডেমীর নিয়মিত গভর্নিং বডির মেয়াদ রয়েছে চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটিসহ দুটি কমিটিই রয়েছে। তাছাড়া আমাকে তারা কোনো প্রকার নোটিশ না করেই অব্যাহতি দিয়েছে, যা বেআইনী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে গভর্নিং বডি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে।