শাহরাস্তিতে কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিতে গিয়ে আহত ৫

নোমান হোসেন আখন্দ
শাহরাস্তিতে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে বিয়ের করার জন্য তুলে নিতে গিয়ে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় উপজেলা মেহের দক্ষিণ ইউপির দেবকরা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী পরিবার জানা যায়, ২০১৭ সালে ওই দেবকরা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির এক প্রবাসীর মেয়ে (১৮) খিলা বাজার স্কুল এন্ড কলেজে পড়া অবস্থায় একই গ্রামের কালামিয়া বেপারি বাড়ির আবু তাহেরের ছেলে আলমগীর (৩৮) তাকে বিয়ে করতে চেষ্টা চালায়। ওই অভিযোগে ২০১৮ সালে জানুয়ারি মাসে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত আবেদন করলে একই ইউপির চেয়ারম্যান শফি আহমেদ মিন্টু তার দপ্তরে আলমগীর থেকে একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর নেন।
ওই ঘটনার রাতে ওই বাড়ির মৃত মনসুর আলীর ভূঁইয়া ছেলে (চাচা) আব্দুল মান্নান (৩৪) প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে দেখেন বাড়ির সব লাইট বন্ধ। ওই সময় শিক্ষার্থীকে তুলে নিতে আসা আলমগীর গংরা চেষ্টা চালায়। এতে তার পরিবারের চাচা আ. সাত্তার (৩৮), জেঠা শাহাজান (৫০), শিক্ষার্থীর ভাই মো. ফখরুল ইসলাম (১৯) গুরুতর জখম হয়। তখন সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীর চাচা আ. সাত্তার আগত আলমগীরকে অ¯্রসহ জাপটে ধরলে তার সঙ্গে থাকা মুখোশ পরা ব্যক্তিদের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের মধ্যে প্রচ- সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তার চাচা আ. সাত্তার ও আলমগীর গুরুতর আহত হন। ওই সময় আলমগীরের সঙ্গে আসা মুখোশধারী ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এ সংবাদ পেয়ে এসআই হাবিবুর রহমান ও এএসআই শাহাজালালসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শাহরাস্তি হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
একই সময় আহত আলমগীরকে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তির জন্য প্রেরণ করা হয়। ওই ঘটনায় প্রবাসীর স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে আলমগীর বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার একটি মামলা রুজু করেন।
মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খিলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জাকির হোসেন জানান, তদন্তসাপেক্ষে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমি এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

১০ জুলাই, ২০১৯।