হাজীগঞ্জের ৪ ইটভাটায় ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

গুঁড়িয়ে দেয়া হলো অবৈধ ইটভাটা



মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে অবৈধ চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়ে ৪টি ইটভাটার মালিকদের মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল সোমবার পরিবেশ অধিদপ্তরের এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজির আহমেদ। অভিযানে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাসেদসহ র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস অংশগ্রহণ করে।
অবৈধ ইটভাটাগুলো হলো- হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন মেসার্স কামাল ব্রিকস্, রনি ব্রিকস্, মেসার্স এমবিএম ব্রিকস্ ও উপজেলার গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের আবদুল গণি ব্রিকস্।
আদালত উল্লেখিত অবৈধ ইটভাটাগুলোর চুলায় পানি ছিটিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলাসহ ভেকু মেশিন দিয়ে চুলাগুলো গুঁড়িয়ে দেয় এবং মালিক পক্ষকে আলাদা-আলাদাভাবে ৬ লাখ টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করে।
এর মধ্যে মেসার্স কামাল ব্রিককে ৬ লাখ টাকা, মেসার্স এমবিএম ব্রিককে ৬ লাখ টাকা, রনি ব্রিক ফিল্ডকে ৬ লাখ টাকা এবং আবদুল গণি ব্রিক ফিল্ডকে ৬ লাখ টাকাসহ মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাসেদ বলেন, পৌর এলাকার মধ্যে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। এসব এলাকায় স্কুল-কলেজসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থাকায় লোকজনদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জরিমানাকৃত ইটভাটাগুলোর কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে ২০১২ সাল থেকে ইটভাটাগুলো চলছে।
এএইচএম রাসেদ আরো বলেন, জেলার ১২৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪৫টি ইটভাটা নিয়ম-নীতি না মেনেই দীর্ঘদিন ধরে ইট তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেসব ইটভাটার বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তানজীর আহমেদ জানান, মেসার্স কামাল ব্রিক, মেসার্স এমবিএম (বসির উদ্দিন মজুমদার) ব্রিক এবং রনি ব্রিক ফিল্ড, শাহরাস্তির আবদুল গণি ব্রিক ২০১২ সাল থেকে অবৈধভাবে চলছে। এছাড়া তারা যে স্থান থেকে মাটি কাটছেন তাও অবৈধ।
তিনি বলেন, সরকারি আইন না মানায় চারটি ইটভাটাকে ৬ লাখ করে মোট ২৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে মেসার্স কামাল ব্রিক ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী শাহজাহান বেপারী বলেন, ২০১২ সালের পর আমরা ইটভাটার লাইসেন্স নবায়নের জন্য দরখাস্ত করি। কিন্তু আমাদের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে কোনো ধরনের অনুমতি দেয়া হয়নি। এছাড়া অভিযানের আগে আমাকে কোনো ধরনের নোটিশ দেয়া হয়নি।