হাজীগঞ্জে প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে শিক্ষার্থী ধর্ষণ


মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক (২৫) নামের এক ইমামকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে রোববার বিকালে তাকে আটক করে পুলিশ।
ধর্ষক ইমাম মোজাম্মেল হক চাঁদপুর সদর উপজেলার স্থানীয় দেবপুর জামে মসজিদে কর্মরত ছিলেন। তিনি শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাঁও গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে। আর ধর্ষণের শিকার কিশোরী চাঁদপুর সদর এলাকার এক প্রতিবন্ধী দম্পতির মেয়ে।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে, ধর্ষণের অভিযোগ এনে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, কিশোরীর বাবা অন্ধ হওয়ায় তিনি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বেলায় হাজীগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করে থাকেন। তারা ভিক্ষা করে সংসার পরিচালনাসহ মেয়েটিকে পড়ালেখা করান। অন্ধ পরিবারের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম মোজাম্মেল হক কিশোরীকে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানোর দায়িত্ব নেন।
পরে কিশোরীকে ভালোভাবে পড়ানোর কথা বলে, তার বাবা-মাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে গত ১৭ নভেম্বর হাজীগঞ্জের বাজারের মকিমাবাদ গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় কিশোরীকে নিয়ে আসেন ইমাম মোজাম্মেল হক। এবং সে বাসায় কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন ইমাম।
ঘটনার পর কিশোরী তার পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। প্রতিবন্ধী পরিবারটি ইজ্জতের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে, ভিক্ষার পাশাপাশি গোপনে ধর্ষক ইমামকে খুঁজতে থাকেন। পরবর্তীতে গত ৬ মাস পর রোববার (১৯ মে) বিকালে হাজীগঞ্জ বাজারে ধর্ষক মোজাম্মেল হককে দেখতে পেয়ে কিশোরীর মা তাকে জাপটে ধরেন। এরপর স্থানীয় জনতা ইমামকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন রনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা বাদি হয়ে রোববার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার আটক ইমামকে আদালতে প্রেরণ করা হলে, আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
তিনি বলেন, মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিশোরীকে তারা বাবা-মায়ের জিম্মায় দিয়েছে আদালত।