১৯৭ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের আত্মসমর্পণ


চাঁদপুর মডেল থানায় ১১১ দিনে

স্টাফ রিপোর্টার
কথায় আছে যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যায়। তেমনি চাঁদপুর জেলা পুরিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন কঠোর নজরদারীতে মাদক ব্যবসায়ীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাছিম উদ্দিন দায়িত্ব নেয়ার পর মাত্র ১১১ দিনে ১৯৭ জন মাদক ব্যবসায় ও সেবী আত্মসমর্পণ করেছে। যদিও পুলিশের তালিকায় প্রায় ৫ শতাধিক মাদক ব্যবসায় ও সেবীর নাম রয়েছে। পুলিশের দাবি একজনও মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী চাঁদপুরে থাকতে দেয়া হবে না।
সারা দেশের মতো চাঁদপুরে পৌর এলাকার ১শ’ ৯৭ জন মাদক ব্যবসায় ও সেবী আত্মসমর্পণের পথ বেছে নিয়েছে। এজন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে চাঁদপুরবাসী। প্রথমে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মডেল থানায় ৪৮ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে শুরু হয়। গত ১৬ মে পর্যন্ত ১শ’ ৯৭ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী আত্মসমর্পণ করার তথ্য পাওয়া যায় চাঁদপুর মডেল থানা থেকে।
শহরের কয়লাঘাট এলাকার লম্বু সোহেল, পুরাণবাজারের বৌ বাজার এলাকার হেলাল ফরাজী, বড় স্টেশনের সুমন প্রধানিয়া, স্ট্যান্ড রোডের দেলোয়ার হোসেন, মহিলা কলেজ রোডের ভ্যারাইটিজ রাসেল, শিলন্দীয়া এলাকার হৃদয় কাজীসহ বেশ কয়েকজন আত্মসমর্পণকারী জানান, পুলিশের মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণা ও বিশেষ অভিযানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করছি। আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই। আমরা আর মাদক বিক্রি ও সেবন করবো না।
মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন এন্ড কমিউনিটি পুলিশিং মো. আবদুর রব জানায়, অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ব্যবসায় ও সেবী আত্মসমর্পণের কাজ শুরু করা হয়। আত্মসমর্পণকারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য যে যে কাজে পারদর্শী সেই কাজের জন্য পুলিশ প্রশাসন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার প্রক্রিয়া নিচ্ছে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন জানান, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের নির্দেশে চাঁদপুরকে মাদক মুক্ত করতে আমরা কাজ করছি। একজন মাদক ব্যবসায়ীকেও চাঁদপুরে থাকতে দেয়া হবে না। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।