ডা. এমএ গফুরের সহধর্মিণীর দাফন সম্পন্ন

চাঁদপুরের প্রবীণ চিকিৎসক

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের প্রবীণ চিকিৎসক আলহাজ ডা. এমএ গফুরের সহধর্মিণী, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মাহমুদা খাতুনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজা শেষে মরহুমা চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়। গতকাল বুধবার বাদ জোহর চাঁদপুর পৌর ঈদগাঁহ মাঠে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন বাসস্ট্যান্ড গোর-এ-গরিবা জামে মসজিদের মোহতামেম আলহাজ মাও. আব্দুর রশিদ।
এ সময় উপস্থিত প্রবীণ চিকিৎসক আলহাজ ডা. এমএ গফুর, চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ ও চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আলহাজ মো. জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, চাঁদপুর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ মোশতাক হায়দার চৌধুরী, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি ডা. মো. একিউ রুহুল আমিন, প্রবীণ আইনজীবী অ্যাড. ফজলুল হক সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ তাফাজ্জ্বল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য লায়ন কাজী মাহবুবুল হক, খোরশেদ আলম পাটওয়ারী কাঞ্চন, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ, ম্যানেজার মো. সেলিম রেজাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, স্ট্র্যান্ড রোডের ব্যবসায়ী, সুধীজন এবং সর্বস্তরের মানুষ।
জানাজার আগে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার দোয়া কামনা করে বক্তব্য রাখেন মরহুমের বড় ছেলে ডা. মো. শাকিল গফুর।
উল্লেখ্য, প্রফেসর মাহমুদা খাতুন (৮১) বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি………..রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের জমিদাতা, দাতা সদস্য ও আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার আশ্বিনপুর গ্রামে ১৯৩৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রফেসর মাহমুদা খাতুনের বাবার নাম মরহুম শাহেদ আলী পাটওয়ারী (সাবেক স্পিকার)। তিনি ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি কলেজে এবং ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ করেন। তিনি ১ মেয়ে ও ২ ছেলের জননী ছিলেন। মেয়ে মাহফুজা হক অর্থনীতিতে এম.এ. (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), বড় ছেলে ডা. শাকিল গফুর, এমবিবিএস, ডিটিসিডি, এমডি (কার্ডিওলজি) রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অধ্যাপক পদে কর্মরত এবং ছোট ছেলে ড. শায়ের গফুর, বিএসসি (আর্ক) ও পিএইচডি (অক্সফোর্ড) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এ স্থাপত্য বিভাগে প্রফেসর পদে কর্মরত।
বর্ণিল কর্মজীবনে প্রফেসর মাহমুদা খাতুন ছিলেন একজন সৎ, মিতভাষী ও পরহেজগার নারী।