পুলিশ নিহতের ঘটনায় হাইমচরে দুই পুলিশ প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার
হাইমচরে মেঘনা নদীতে জেলেদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল মোশারফ হোসেন (৩২) নিহত হওয়ার ঘটনায় একই থানার এএসআই সুমন সরকার ও পুলিশ কনস্টেবল শাহাদাত হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার নিহতের স্ত্রী শামীমা আক্তার বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জন জেলেকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
এদিকে পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবিরের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আর মোশারফ হোসেন হত্যা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি পুলিশকে। পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাইমচর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাইমচরের চরকোড়ালিয়া এলাকায় গত শুক্রবার রাতে ট্রলারে করে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ধরতে পুলিশের ৩ সদস্যের একটি দল অভিযানে যায়। এ সময় হাইমচর কলেজ ঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে জাটকা ধরতে আসা জেলেদের দেখে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় জেলেরা পুলিশ দেখে লগি-বইঠা নিয়ে হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় নৌকায় থাকা পুলিশ সদস্য মোশারফ হোসেন নদীতে পড়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার ৪৬ ঘণ্টা পর বরিশালের হিজলা এলাকায় মেঘনা নদী থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সদস্যরা নদীতে যেকোনো অভিযানে গেলে লাইফ জ্যাকেট বাধ্যতামূলক। কার গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, প্রকৃত ঘটনা কী, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।