হিমশীতল রাতে শীতার্তদের পাশে হাজীগঞ্জের ইউএনও

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
পৌষের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পরে হিম শীতল বাতাসে প্রাণ জবুথবু। এতে কষ্ট বেড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও ছিন্নমূল মানুষের। বিশেষ করে বেদে পল্লীর পরিবারগুলো সারাদিনের কাজের ক্লান্তির পর পলিথিনে মোড়ানো ঘরে কোনো মতে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রচন্ড শীতের প্রকোপ থেকে আত্মরক্ষার জন্য তাদের অনেকের নেই ন্যূনতম শীতবস্ত্র।
পূর্ব কোনো ঘোষণা ছাড়াই গত শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে এসব অসহায় মানুষের কষ্ট দেখতে বের হন হাজীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া। এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ বেদে পল্লী এবং রেল স্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত ছিন্নমূলসহ প্রায় ৫০টি বেদে পরিবারকে কম্বল দেন। সাথে ছিলেন উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফাসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।
কম্বল বিতরণকালে ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়া শীতার্থদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের হাতে কম্বল তুলে দেন। আবার অনেকের গাঁয়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি। এ সময় যেসব মায়ের কোলে শিশুদের খালি পায়ে (প্যান্ট/পায়জামা হীন) দেখেছেন সেসব মায়ের হাতে নিজ খরচে শীতের পোশাক কেনার জন্য নগদ টাকা তুলে দেন তিনি। আবার তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার খোঁজ-খবরও নেন তিনি।
আনোয়ার হোসেন নামের একজন ছিন্নমূল বৃদ্ধ জানান, আমরা গরিব মানুষ, টাকা-পয়সা নেই। তাই কম্বল কিনতে পারি না। ইউএনও স্যার আমাদের কম্বল দিয়েছেন। এতেই আমরা খুশি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। আমিও দাপ্তরিক কাজ শেষে সন্ধ্যার পরে কম্বল নিয়ে বের হচ্ছি এবং এই শীতে অসহায়, ছিন্নমূল শীতার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। কোথাও এমন শীতার্ত থাকলে তাকে জানাতে অনুরোধ জানান তিনি।