মতলব উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জল হোসেনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন


মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জল হোসেন সরকারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার বাদ আসর মতলব উত্তর উপজেলার আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জানাযাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধা তাফাজ্জল হোসেন সরকারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার গার্ড অব অনার জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে গার্ড অব অনারে অংশ নেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মালিক তানভীর হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুজাম্মেল হক ও মতলব উত্তর থানা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এসআই গোলাম সারোয়ার ও একটি চৌকস বাদকদল।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন তিতাস গ্যাসের ডিজিএম লুৎফর হায়দার মাসুম সরকার, সহকারী সেটেলম্যান্ট অফিসার এএসএম শাহিন সরকার, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, উপজেলা সমবায় সমিতির সভাপতি শাহিন চৌধুরী, ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোল্লা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, আউলিয়াবাগ দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, সহকারী সুপার তাওহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আলী আহম্মেদ, চরকালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য জসিম উদ্দিন মুন্সি, সাংবাদিক কবির হোসেন সরকার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ, সালাউদ্দিন, সালাউদ্দিন মিয়াজী, শরিফুল ইসলাম, শফিউল্যাহ, মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজের জিএস রাহমত চৌধুরীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
জানাযায় ইমামতি করেন মাওলানা মানিক সরকার। জানাযা শেষে মরহুম তাফাজ্জল হোসেন সরকারকে সরকার বাড়ি পারিবারিক গোরস্থানে মরহুমকে সমাহিত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ছৈয়ালকান্দির নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল ও কিংসস্টোন হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রায় ১ মাস ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে ২৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬ টায় তিনি ঢাকার কিংস্টন হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি… রাজেউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
তিনি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি কৃষি বিভাগে চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে গেছেন। বড় ছেলে জাকারিয়া কমল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করেছে। ছোট ছেলে গোলাম রাব্বী ও মেয়ে তাহমিনা ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে এবং ছোট মেয়ে তিশা ছেংগারচর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে।