বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব
……..জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান
স্টাফ রিপোর্টার
‘আর নয় বাল্যবিবাহ এগিয়ে যাবো স্বপ্ন নিয়ে’ এই প্রতিপ্রাদ্যে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধককল্পে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮-২০৩০’ এর আলোকে জেলা পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ইপসার আয়োজনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কিন্তু বিভিন্ন সভা-সেমিনার হচ্ছে। বিশেষ করে আমাদের যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তাদের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা কোন কোন ক্ষেত্রে বিপথগামী হয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ যে উদ্যোগ তার মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে অন্যতম। আমাদের দেশের প্রায় অর্ধেক নারী, তাদের যদি আমরা কর্মমুখী করতে পারি তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বশির আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ রায় ও সিনিয়র সহকারী জজ সাকিব হোসেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইপসার বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফারহানা ইদ্রিস। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইপসার জেলা সমন্বয়কারী গোলাম ছরওয়ার।
কর্মশালায় ৫টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়গুলো হলো- ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ, বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার স্টেক হোল্ডারদের ভূমিকা। নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হচ্ছে, যা আইনগত নয়। কাজী সাহেবরা দুই ধরনের রেজিস্ট্রার ব্যবহার করে। জন্মনিবন্ধনের উপর গুরুত্বরাপ। বাল্যবিবাহ আইনের উপর গুরুত্বরাপ।
কর্মশালায় জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
০১ ডিসেম্বর, ২০২২।