মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে হাসপাতালে কোহিনুর বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ দিন দুপুরে গৃহবধূ কোহিনুর বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তিনি উপজেলার হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের বলিয়া গ্রামের সর্দার বাড়ির নজরুল ইসলামের (৪২) স্ত্রী ও একই উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের আলমগীর হোসেনের মেয়ে।
নিহতের স্বামীর পরিবার থেকে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলেও নিহত গৃহবধূর বাবার পরিবার দাবি করেছেন, কোহিনুর বেগমকে হত্যা করে হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়েছে স্বামী ও তার শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য লোকজন। তবে ওই এলাকার লোকজন নিহতের বিষয়টি রহস্যজনক বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার দিন গৃহবধূ কোহিনুর বেগমকে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বামী নজরুল ইসলাম ও তার শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এরপর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে হাসপাতাল থেকে স্বামী ও শাশুড়ি হাসপাতাল খেকে সটকে পড়ে।
নিহত গৃহবধূর বাবা আলমগীর হোসেন জানান, আমরা হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে এসে দেখি পুলিশ লাশ নিয়ে থানায় চলে গেছে। তিনিসহ তার পরিবারের লোকজন কোহিনুর বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন এবং তদন্তসাপেক্ষে স্বামী ও শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
২৩ নভেম্বর, ২০২১।