হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের নামাজ আদায়

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় জুমায় হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় জামে মসজিদের মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। উপজেলা, জেলা ও দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে এসে এক কাতারে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের জুমার নামাজ আদায় করেছেন। মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল জেলার বৃহত্তম এ মসজিদটি।
গত শুক্রবার জুমার নামাজের আগেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় এই পবিত্র স্থান। জুমার নামাজে ইমামতি করেন, মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মো. আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে তিনি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।
নামাজে অংশগ্রহণ করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মুহম্মদ রকিব উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজের আজানের আগেই মুসল্লিরা নামাজের উদ্দেশে মসজিদে প্রবেশ করতে থাকেন। বেলা সোয়া ১২টা পার হতেই মুসল্লিদের ঢল নামে মসজিদে। বেলা ১টা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের দোতলাসহ ভেতর-বাহির, মাঠসহ মসজিদসহ বিভিন্ন মার্কেট প্রাঙ্গণ।
পরবর্তীতে মসজিদের মাঠ, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও ভবন, জামেয়া আহমাদীয়া কওমী মাদ্রাসা ভবন, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টার, প্রাইম ব্যাংক ভবন, রয়েল রওশন সুপার মার্কেট, হাজীগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেটের কানায় কানায় মুসুল্লীরা নামাজের কাতারে দাঁড়িয়ে যান।
এরপর নামাজের আগ মূহুত্বে মসজিদের ভেতরে তিল ধারনের জায়গা না থাকায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। নামাজ চলাকালীন সময়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মসজিদে আগত একজন মুসল্লি বলেন, বছরে একবার হলেও হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের চেষ্টা করি। আর রমজানের জুমায় আসতে পারা তো ভাগ্যের ব্যাপার। এখানে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে এক ধরনের মানসিক প্রশান্তি অনুভব করি। মসজিদের ইতিহাস, স্থাপত্যশৈলী আর পরিবেশ মন ছুঁয়ে যায়।
মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি মো. আব্দুর রউফ বলেন, প্রতি জুমা’বার (শুক্রবার) সহ রমজানের প্রথম জুমা থেকেই মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় থাকে। তারাবির নামাজের জন্য ইমাম ও সহকারী ইমামসহ দুইজন হাফেজ দিয়ে খতম তারাবি পড়ানো হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ’ মানুষ ইফতার করেন, কখনো সংখ্যা আরও বাড়ে।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন, প্রতি শুক্রবারসহ রমজানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মুসল্লি আসেন। তাই, তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। আলহামদুলিল্লাহ্, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সংখ্যা বেড়েছে।

১৬ মার্চ, ২০২৫।