ইব্রাহিমপুর ও ঈশানবালায় ভাঙনরোধে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার

মেঘনা নদীর ডান তীরে অবস্থিত চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ও হাইমচরের ঈশানবালা বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকা রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর জরুরি ভাঙন ঠেকাতে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চাঁদপুর সদরের ইব্রাহিমপুর আলুর বাজারের ২১৫ মিটার এলাকার তীর সংরক্ষণের জন্যে ৮৩ লাখ টাকা এবং হাইমচরের ঈশানবালা রক্ষায় ১০০ মিটার এলাকার তীর সংরক্ষণের জন্যে ৫৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। জরুরি ভাঙন ঠেকাতে এ বরাদ্দ বা প্রশাসনিকভাবে ব্যয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত সোমবার (১০ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জোয়ার-ভাটার পানির তোড়ে সদরের ইব্রাহিমপুর আলুর বাজার ও ঈশানবালা বাজার, পুলিশ ফাঁড়ি, এমজিএস বালিকা বিদ্যালয়, কোড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারি বেসরকারি স্থাপনাসহ বসতবাড়ি ও কৃষি জমি আবারও মেঘনা নদীতে বিলীন হতে চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে চাঁদপুর একটি প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করে প্রতি বছর মেরামত ও সংরক্ষণ কাজে বরাদ্দের দারি করে আসছে।

হাইমচরের দায়িত্বে নিয়োজিত পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সতর্কতামূলক নদীতীর সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যা দ্বারা জিইও ব্যাগ নিক্ষেপের মাধ্যমে তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি জিইও ব্যাগের ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ কেজি।

তিনি আরো জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জিইও ব্যাগ গণনা করে ওই এলাকায় ডাম্পিং করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঈশানবালায় ৯ আগস্ট ৪, ৪৪৭টি জিইও ব্যাগ প্লেস করা হয়েছে। বুধবার আরো ৪৫০০ ব্যাগ ডাম্পিং হওয়ার কথা রয়েছে এছাড়া ইব্রাহিমপুর আলুর বাজারে জরুরি কাজ প্রায় শেষের পথে। সেখানে প্রায় ১৩ হাজার জিইও ব্যাগ ইতোমধ্যেই ডাম্পিং করে নদীর তীর সংরক্ষণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নদীর তীর সংরক্ষণ করা হলে ঈশানবালা ও আলুর বাজার এলাকার শত-শত নদী ভাঙন পরিবার মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা বিস্তারে কাজ করছে। কৃষি পণ্য উৎপাদনে স্থানীয় অধিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাদের ফসলের জমিগুলো আবাদ করে জীবন-জীবিকা চালাতে পারবে বলে স্থানীয় অধিবাসীদের প্রত্যাশা।

১৩ আগস্ট, ২০২০।