স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুর জেলার উত্তর তারাবুনিয়া এলাকায় সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর জেলার উত্তর তারাবুনিয়া ঘাসেরকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন- জহির উদ্দীন প্রধানিয়া (৪৫), আবু হানিফ প্রধানীয়া (৪৫), সমেদ প্রধানিয়া (৫৫), রুবেল প্রধানীয়া (৩০), সাফিয়া বেগম (৪০) ও মনসুরা বেগম (৪০)। এর মধ্যে জহির উদ্দীন প্রধানিয়া (৪৫) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হাফেজ প্রধানিয়ার ভাই মন্নান প্রধানীয়া তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একাই ভোগ দখল করে আসছিল। সম্পত্তি থেকে হাফেজ প্রধানীয়াকে বঞ্চিত রেখে দীর্ঘদিন ধরে মন্নান প্রধানীয়া ও তার পরিবারের লোকজন ভোগ দখল করেছিল। পরবর্তীতে হাফেজ প্রধানিয়ার ছেলে আবু হানিফ প্রধানীয়া গংরা দাদার সম্পত্তি পাওয়া জন্য স্থানীয়দের মাধ্যমে সমঝোতায় বসে। ওই সমঝোতায় উভয় পক্ষকে সম্পত্তি সমানভাবে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্তমতে মন্নান প্রধানীয়া তার ভাতিজাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা করে মারাত্মকভাবে জখম করে। গুরুতর আহতদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি হযরত আলী বেপারী, চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার হোসেন সরকারসহ আরো অনেকে।
ইউপি চেয়ারম্যান হাজি হযরত আলী বেপারী বলেন, আহত সবাই আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। নদী ভাঙ্গার কারণে তারা খাসকান্দিতে বর্তমানে বসবাস করছে। পৈত্রিক ও দাদার সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা তাদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে।
০৩ আগস্ট, ২০২২।
