মাহফুজ মল্লিক
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উত্তর দিঘলদী গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩ টায় উত্তর দিঘলদী গ্রামের বৌ-বাজার সংলগ্ন খালেক গাজীর ছেলে জুয়েল গাজীর বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং মুহূর্তের মধ্যে পুরো ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ও আশপাশের লোকজন কলস, বালতি, জগ নিয়ে এগিয়ে আসে এবং টিউবওয়েল ও পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আগুনে পুরো ঘর ও ঘরে থাকা ফ্রিজসহ সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এছাড়া ঘরটি সাথে একটি কবুতরের টংঘর এবং ভিতরে থাকা ৫ জোড়া কবুতর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরটি আগুনে পুড়ে যাওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর মতলব দক্ষিণ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায় এবং তাদের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এছাড়া মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
জুয়েল গাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, আমার ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে পাশের ঘরে ছিলাম। হঠাৎ করে একজন বলতে থাকে, আমাদের ঘরে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে ডাকচিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ঘরের ভিতরে থাকা দুটি খাট, সুকেশ, একটি ফ্রিজ, নগদ ৪ হাজার টাকাসহ পরনের বস্ত্র ছাড়া কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার স্বামী জুয়েল গাজী ঢাকা একটি তারকাটা ফ্যাক্টরিতে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল বসত ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আগুনে প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সুফিয়া বেগম।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই অগ্নিকাণ্ডস্থলে চলে আসি। আমরা আসার আগেই বসতঘরটি পুড়ে যায়। পরে আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে এবং আশপাশের বেশ কয়েকটি বসতঘর আগুন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে সহয়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
০৯ মার্চ, ২০২৫।