একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করছেন সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা

এবছর সৌদিআরবকে অনুসরণ না করে

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে সাদ্রা দরবার শরীফ অনুসারীদের মাঝে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার কয়েকটি গ্রামে কয়েক শতাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিন সকালে সাদ্রা ঈদগাঁ মাঠে ঈদের জামায়াতের ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর মাও. মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী, চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে মেঝো হুজুর মাও. আবু বকর মো. ইসমাইল এবং শমেসপুর জামে মসজিদে ছোট হুজুর মাও. ডা. হাছান চৌধুরী ও সেজো হুজুর মাও. আবুল খায়ের। এছাড়া অন্যান্য এলাকায় তাদের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করছেন।
এদিকে অন্যান্য বছর সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করলেও এবছর একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করলো সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা। তাদের ২৯ রোজা পূর্ণ হয়েছে। সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খানের ৬ ছেলের মধ্যে বর্তমান পীর মাও. মুফতি জাকারিয়া আল মাদানীসহ ৪ ছেলে অগ্রিম ঈদ উদযাপন করে।
তবে সাদ্রা দরবার শরীফের বড় হুজুর মরহুম মাও. আবু যোফার মো. আব্দুল হাইয়ের অনুসারীরা সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে ৩০ রোজা পূর্ণ করে আগামিকাল বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপন করবেন। ঈদের নামাজের ইমামতি করবেন মরহুমের ছেলে মাও. আরিফ হোসেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী বলেন, সৌদিআরব নয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে থাকি।
তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার নাইজার, সোমালিয়া ও পাকিস্তানের একটি প্রদেশে চাঁদ দেখা গেছে। তারা আজ ঈদ উদযাপন করছে। তাই আমরাও ঈদ উদযাপন করছি।
দরবার শরীফের পীর মাও. জাকারিয়া আল মাদানী এক দিন আগে ঈদ পালনের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাইজার ও সোমালিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঈদের চাঁদ ওঠার খবর পাওয়ায় তাঁরা এক দিন আগে ঈদ উদযাপনের করছেন।
উল্লেখ্য, সাদ্রা দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মরহুম মাওলানা ইসহাক খান বিশ্বের অন্য কোথাও চাঁদ উঠেছে শুনে ১৯৩১ সালে প্রথম হাজীগঞ্জের সাদ্রা গ্রামে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপনের এ রীতি চালু করেন।

১২ মে, ২০২১।