এলাকাকে মাদকমুক্ত করাই তরুণ কাউন্সিলরদের প্রধান চ্যালেঞ্জ

 

মতলব পৌর নির্বাচনে ৩ বিজয়ী কাউন্সিলর

মাহফুজ মল্লিক
মতলব পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায় মাদকের ব্যবসা জমে উঠেছে। এতে করে নতুন প্রজন্ম ও যুবসমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই তরুণ এ প্রজন্ম ও যুবসমাজকে অন্ধকার জগৎ থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। মতলব পৌরসভার ২, ৬ ও ৭নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত তরুণ তিন কাউন্সিলর একান্ত আলাপচারিতায় এ কথাগুলো বলেন।
৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন বলেন, আমি যে ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর হয়েছি এটি পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র এবং সদর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে উপজেলা পরিষদ, থানা এবং পৌর ভবনসহ সরকারি বেসরকারি সকল অফিস। তাই এ ওয়ার্ডটিকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। এ ওয়ার্ডে কেউ মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করলে পৌরসভার মেয়র এবং স্থানীয় এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করবো।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাড. মো. নুরুল আমিন রুহুল ভাইয়েরও নির্দেশনা আছে কোন মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের স্থান মতলবে নেই। এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন তরুণ কাউন্সিলর সারোয়ার সরকার লিখন। তিনি আরো বলেন, আমার পিতা মরহুম শাহজাহান সরকার। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। দীর্ঘদিন সুনামে সাথে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাকে অল্প বয়সে কাউন্সিলর নির্বাচিত করে যে অর্পিত দায়িত্ব ওয়ার্ডবাসী দিয়েছেন, তা সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবো এবং আপনাদের সেবা করে আমার পিতার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবো।
৬নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত আরেক তরুণ কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম মোহন বলেন, আমার পিতা বিল্লাল হোসেন মোল্লা মতলব পৌরসভার এই ওয়ার্ডের নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন। তিনি এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের সুখে-দুখে পাশে থেকে সেবামূলক কাজ করে যে সম্মান অর্জন করেছেন আমিও ইনশাআল্লাহ আমার বাবার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করবো। আমার এ ওয়ার্ডটি নবকলস, ঢাকিরগাঁও এবং উত্তর দিঘলদী নিয়ে গঠিত। এ ওয়ার্ডে কয়েকটি স্থানে মাদক ব্যবসার তথ্য এসেছে। আমি যেহেতু তরুণ, কোন তরুণ ও যুবক মরণনেশা মাদকের ছোবলে গ্রাস করতে না পারে সেদিকে আমার সর্বোচ্চ দৃষ্টি থাকবে। সে যেই হোক কোন ছাড় দেয়া হবে না। আমরা মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন ভাইকে সাথে নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডকে শতভাগ মাদকমুক্ত করবো।
তিনি আরো বলেন, আমাকে আপনারা ভালবেসে নির্বাচিত করে পবিত্র যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে রক্ষা করার চেষ্টা করবো। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করতে আপনাদের পরামর্শ নিয়ে করবো।
এদিকে ৭নং ওয়ার্ডের আরেক তরুণ কাউন্সিলর পিন্টু সাহা বলেন, আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে হলেও কোন অন্যায়কে আমি আশ্রয় প্রশ্রয় দিবো না। আমারও নির্বাচনের পূর্ব প্রতিশ্রুতি ছিল আমি নির্বাচিত হলে ৭নং ওয়ার্ডকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করবো। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। যেহেতু আমার ওয়ার্ডটি বোয়ালিয়া ও নলুয়া গ্রাম নিয়ে গঠিত। বোয়ালিয়া গ্রামটি অনেক পুরোনো ও প্রাচীন নাম। এ গ্রামের অনেক সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে আছে। আমি সে সুনাম ধরে রাখতে আমাকে যতটুকু কঠিন হতে হয়, তাই হবো। তবে এ ওয়ার্ডে দিনমজুর, গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি। আমি চেষ্টা করবো আমাদের সাংসদ আলহাজ অ্যাড. মো. নুরুল আমিন রুহুল ভাইয়ের মাধ্যমে যেন এলাকাটিতে উন্নয়ন করা যায় সে বিষয়ে জোর দাবি জানাবো।
এছাড়া আমাদের আওলাদ হোসেন লিটন ভাইও যেহেতু পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তিনিও আগের চাইতে এখন বেশি দৃষ্টি রাখবেন। ৭নং ওয়ার্ডটিকে মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে আপনারা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন, এটাই আমার বিশ্বাস।
০৪ মার্চ, ২০২১।