কচুয়ায় ৩ বছরেও নেই সড়কের কাজের অগ্রগতি

দরবেশগঞ্জ-কাদলা সড়কে জনসাধারণের ভোগান্তি

কচুয়া ব্যুরো
কচুয়ায় কাঁচা সড়ক পাকা না করায় প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কে চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কয়েকটি গ্রামের মানুষ। উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের পূর্ব কালচোঁ-দরবেশগঞ্জ স্কুল থেকে কাদলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কের অংশে দরবেশগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পশ্চিম অংশ থেকে কাদলা সড়কের মাঝামাঝি প্রায় সিকি কিলোমিটার রাস্তা কেটে বালু ফেলে চলে যায় ঠিকাদার। ফলে বর্ষাসহ বিভিন্ন সময়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তি এখন নিত্যদিনের সঙ্গী। সড়কের বেহাল দশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজারো মানুষ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী। বৃষ্টি হলেই কাদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। ৩ বছর আগে কাঁচা রাস্তা পাককরণে কাজ শুরু হলেও বর্তমানে তার কোনো অগ্রগতি নেই। এতে রাস্তার মাটি সরিয়ে ফেলায় ধূলা-বালিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ৩ কিলোমিটারের রাস্তার মধ্যে প্রথম অংশে রাস্তায় বালু দিয়ে ভরাট করলেও পুরো রাস্তায় কাজ করা হচ্ছে না।
জানা গেছে, উপজেলা এলজিইডি অধিদপ্তরের আওতায় প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের পূর্ব কালচোঁ ও দরবেশগঞ্জ-কাদলা বাজার সড়কের প্রায় ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়কের কাজ শুরু হয়। সড়কটি দিয়ে ডুমুরিয়া, দরবেশগঞ্জ, কাদলা, গুলবাহার, চৌমুহনী ও হাজীগঞ্জ এলাকার অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কটি কেটে বালু ফেলে এলোমেলো করার রাখায় স্থানীয়রা অসুস্থ রোগীকেও হাসপাতালে নিতে বেগ পোহাতে হয়। পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক ও হাট-বাজার মুখী সাধারণ মানুষ চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, কাঁচা সড়কটি দিয়ে হেঁটে চলাচল ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সড়কজুড়ে বালি আর ধুলাবালি। বৃষ্টিতে কাঁদা একাকার থাকায় যানবাহন তো দূরের কথা হেঁটে মানুষের চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে এলাকার হাজারো মানুষ ও আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, কৃষকরা মাঠের ফসল ঘওে তুলতে এবং উৎপাদিত শস্য এ কাঁচা সড়ক দিয়েই হাট-বাজারে বিক্রির জন্য আনা নেওয়া করেন। কাঁচা সড়কটি পাকা করা হলে এলাকার মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাগব হবে। সড়কটি দ্রুত পাকা করা অত্যন্ত জরুরি বলেও মনে করেন তারা। স্থানীয়রা আরো জানান, আগে কাঁচা সড়ক ছিল, তখন চলাচলে আরো ভালো ছিলো। কিন্তু পাকাকরণের উদ্দেশে ঠিকাদার কর্তৃক রাস্তা কেটে বালি ফেলে রাখায় যেন আগের রাস্তাই ভালো ছিলো। এছাড়া রাস্তার পাশে খাল থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
কয়েকজন যানবাহন চালক জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাঁচা রাস্তাটি এভাবে পড়ে আছে। কিন্তু ঠিকাদারের গাফলতির কারণে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। এই রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। দ্রুত রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানান তারা।
কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার মো. সজিব হোসেন বলেন, এ কাজে ফান্ড না থাকায় বিল পাওয়া যায়নি। ফলে কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজের বিল পেলে পূনরায় রাস্তার কাজ আরম্ভ করা হবে বলে জানান তিনি।
কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলিম লিটন মুঠোফোনে জানান, মালামালের উর্ধ্বগতির কারণে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করে অচিরেই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ শুরু করা হবে।

০৫ ডিসেম্বর, ২০২২।