কুমিল্লায় ইকবালসহ ৪ আসামির আরো ৪ দিনের রিমান্ড

জাহাঙ্গীর আলম ইমরুল
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখে ধর্মীয় অবমানার অভিযোগে গ্রেফতার ইকবাল হোসেনসহ ৪ আসামিকে তৃতীয়বারের মতো ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে সিআইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯-এ ধারায় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই ধারায় কেউ দোষীসাব্যস্ত হলে তাদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। বুধবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দন কান্তি নাথের আদালতে ৪ আসামিকে হাজির করলে বিচারক তাদের আবারো ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানার আদালতে ৪ আসামির দ্বিতীয় দফায় ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২৩ অক্টোবর ইকবাল হোসেনসহ চার আসামিকে পুলিশ ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন কুমিল্লা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। একই সাথে কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডিকে।
গত ১৩ অক্টোবর নানুয়া দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে কোরআন শরীফ রেখে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনায় জড়িত ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগেই পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার ছিলো ‘৯৯৯’ এ প্রথম কল করা ইকবাল হোসেন এবং দারোগাবাড়ী মাজারের খাদেম ফয়সাল ও হাফেজ হুমায়ুন কবীর।
এদিকে কুমিল্লার ঠাকুর পাড়া কালী মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় মামলায় ১৭ আসামিকে পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
বুধবার একই আদালতে ১৭ আসামিকে হাজিরে করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে ১নং মালী আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কুমিল্লা কোর্ট পরিদর্শক সালাউদ্দিন আল মাহমুদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৩ অক্টোবর নগরীর নানুয়ারদীঘির পাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় কুমিল্লা নগরের কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, নোয়াখালীর চৌমুহনী, রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

০৪ নভেম্বর, ২০২১।