খাদেরগাঁওয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ৭

মতলব দক্ষিণ ব্যুরো
মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় প্রতিপক্ষ মোরগ মার্কার কর্মী সমর্থকদের হামলায় ফুটবল মার্কার ৭জন কর্মী-সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা উপজেলার নারায়ণপুর বাজারে একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহতরা হলেন- মো. মজিবুর রহমান, ইফসুফ, মো. সফিউল্লাহ, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. আরিফ হোসেন, নাছির উদ্দিন, মো. ইসমাইল হোসেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় মজিবুর রহমান, আরিফ হোসেন, রহিত ও নাছির উদ্দিনসহ ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নির্বাচনের পর মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ভানুরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত মুজিবুর রহমানের মেয়ে স্বপ্না এবং ফুটবল মার্কার কর্মী মো. কাউছার, কুদ্দুস ও মমিনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, গতকাল বুধবার খাদেরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মোরগ মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. কাজল মিয়াজী এবং ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হাবিবুল্লাহ হবু। নির্বাচনে উভয় প্রার্থীই পরাজিত হয়। পরে নির্বাচন শেষে বুধবার মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ির পাশের দোকানে আসার পথে ফুটবল মার্কার কর্মীদের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় নির্বাচনে হেরে যাওয়া মোরগ মার্কার প্রার্থী মো. কাজল মিয়াজী ও তার কর্মী মো. কামাল, মানিক, ইব্রাহীম, আলমগীর হোসেন, মমিন বেপারী, ফরহাদ বেপারী, আমিরউল্লাহ, ভাসানী, জিসান, নবির হোসেন, রিয়াদসহ আরও অনেকে।
এসময় হামলার শিকার ব্যক্তিদের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নারায়ণপুর বাজারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত কাজল মিয়াজীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

২৮ জুলাই, ২০২২।