ঘনিয়ায় পুকুরের অতিরিক্ত শেওলায় শিক্ষার্থীসহ মুসল্লিদের চরম দুর্ভোগ


স্টাফ রিপোর্টার
পুকুরে পানিতে অতিরিক্ত সবুজ শেওলায় কারণে ফরিদগঞ্জের ঘনিয়া ছাঈদিয়া ফাজিল মাদরাসা ও কারিগরি (বিএম) কলেজ এবং ঘনিয়া ছাঈদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ পুকুরের পানি ব্যবহারকারীদের চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগের শিকার হচ্ছেন বলে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘনিয়া ছাঈদিয়া ফাজিল মাদরাসা ও কারিগরি (বিএম) কলেজ এবং ঘনিয়া ছাঈদিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা সংলগ্ন মসজিদের সামনে একটি পুকুর রয়েছে। যে পুকুরের মালিকানা আখন্দ বাড়ির (পীর সাহেবের বাড়ি) লোকজন। এ পুকুরে হাফিজিয়া ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নিয়মিত প্রায় ৩ শতাধিক লোকজন গোসল করেন। এছাড়া মাদরাসার ৭শ’ শিক্ষার্থীসহ এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওই পুকুরে নামাজের জন্য ওজু করেন।
প্রায় ৪ মাস আগে পুকুরের ইজারাদার ইউরিয়া সার ব্যবহার করার কারণে পুকুরের পানিতে অতিরিক্ত সবুজ শেওলা পড়ে। এই শেওলা দীর্ঘদিন জমে থাকার কারণে পুকুরের পানি দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং নিয়মিত পানি ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী চুলকানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু পুকুরের ইজারাদার আজিজ উল্যাহ্ আখন্দ এ শেওলা দূরীকরণে কোন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে স্থানীয় ও কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ইজারাদার আজিজ উল্যাহ্ আখন্দ ওই বাড়ির তিনটি পুকুর ইজারা নিয়েছেন। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে ইউরিয়া সার ব্যবহার করেছেন। অথচ বাকি দু’টিতে তিনি সার ব্যবহার করেনি। যার ফলে ওই পুকুরের পানি ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এতে মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকার মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
মাদরাসার অধ্যক্ষ এমটিএম ফেরদাউস বলেন, এর আগেও এই পুকুরে ইউরিয়া সার ব্যবহার করার কারণে সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এখন আবারো ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে গত ৪ মাস যাবৎ আমাদের শিক্ষার্থীদের মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুকুর ইজারাদার আজিজ উল্যাহ্ আখন্দ বলেন, এটি মাদরাসার পুকুর নয়, আখন্দ বাড়ির পুকুর। আমি পুকুর তিনটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। সুতরাং আমি লাভের চিন্তা করবো, তবে কারো ক্ষতি করে নয়।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তিনটি পুকুরেই সার ব্যবহার করেছি। মসজিদ সংলগ্ন পুকুরে কোনো অতিরিক্ত শেওলা পড়েছে। বাকি দু’টিতে পড়ে নাই কেনো। আমি মৎস্য অফিসে কথা বলেছি তারা বলেছে, পুকুরে অতিরিক্ত সাবান ব্যবহারের কারণে অতিরিক্ত শেওলা পড়েছে। তাই মৎস্য অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৫ দিন আমি পুকুরে মাছের খাদ্য দিচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত সাবানের ব্যবহার বন্ধ করে দিলেই পুকুরের পানি পরিস্কার হয়ে যাবে। তাছাড়া আমাকে মৎস্য অফিস থেকে একটি ঔষধ পুকুরে প্রয়োগের জন্য বলেছে, আমি সেটিও ব্যবহার করবো।

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।