
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজের ১ দিন পর মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪০) নামের এক স্পিডবোট চালকের দ্বিখন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লাশটি উদ্ধার করে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় স্পিডবোট যোগে যাত্রী নিতে এসে ময়ূর-৭ লঞ্চের ধাক্কায় ধুমড়ে-মুচড়ে স্পিডবোটে নদীতে নিমজ্জিত হয়। নিহত জাহাঙ্গীর আলম ভোলা জেলার ভোলা থানার গামের মুনিরের পুত্র। তিনি তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জনক।
জাহাঙ্গীর গাজির বড় ভাই মো. আলাউদ্দিন গাজি জানায়, তার ভাই মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আসেন। ঢাকা থেকে আসা তার এক আত্মীয়কে রিসিভ করে নেওয়ার জন্য। বিকেল সাড়ে ৫ টার সময়ে ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যাত্রী নামিযয়ে ফিরে যাওয়া এমবি ময়ূর-৭ লঞ্চের পেছনে পাখার সাথে ধাক্কা খায় স্পিডবোটি। সাথে সাথে স্পিডবোটটি দুমড়ে-মুচড়ে নিমজ্জিত হয়।
স্পিডবোটে থাকা জাহাঙ্গীর গাজির ভাতিজা আরিফ সাজি (১৮) নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও লঞ্চের পাখার আঘাতে দ্বিখন্ডিত হয়ে জাহাঙ্গীর নদীতে তলীয়ে যায়।
খবর পেয়ে চাঁদপুর থানার পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবরীদল লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। অবশেষে দীর্ঘ চেষ্টা চালিয়ে বুধবার সকাল ১০টায় নিখোঁজ জাহাঙ্গীরের শরীরের মাথাবিহীন দ্বিখন্ডিত দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে সাথেই আমাদের নৌ-পুলিশ সদস্য এবং চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। অবশেষে দু’ দিনের চেষ্টার ফলে সকাল ১০টায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, আমরা নিহতের পরিবারের কাছে দ্বিখন্ডিত লাশটি হস্তান্তর করেছি এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু দায়ের করার প্রস্ততি চলছে বলে জানা যায়।