চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুতে লোডশেডিং বৃদ্ধিতে জনজীবনে দুর্ভোগ চরমে

সজীব খান
গরমের এই দিনে চাঁদপুরের সর্বত্রই বাড়ছে লোডশেডিং। এর ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম ভোগান্তী। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন যাত্র। পড়ালেখায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে কমলমতি শিক্ষার্থীদের। লোডশেডিংয়ের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ। যার কারণে দিনের পর দিন ভোগান্তির চরম আকারে ধারন করছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন। লোডশেডিংয়ের আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চাঁদপুরের গ্রামঞ্চলের ছোট খাট শিল্প কারখানা ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
সামনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। কিন্তু চাঁদপুরে পল্লীবিদ্যুতে অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছে। বিদ্যুতের ভেল্কিবাজির কারণে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদপুরের গ্রামাঞ্চলে এখন বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসে। দীর্ঘ কয়েক বছর পর হঠাৎ করে এখন দিনে রাতে সব সময়ই লোডশেডিং হচ্ছে। চাঁদপুরে শহরতলী থেকে শুরু করে গ্রামঞ্চলে প্রতিনিয়তই দিনে ও রাতে একাধিকবার লোডশেডিং হচ্ছে। যার কারণে সামনের ঈদের এ হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা জেনারেটরের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জেনারেটর ব্যবসায়ীদের চাহিদানুযায়ী টাকা দিয়ে জেনারেটর সংযোগ নিতে হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী ও গ্রামের বাসা বাড়িতে লোডশেডিংয়ের কারণে সৌর বিদ্যুৎ ক্রয় করতে দেখা গেছে। তবে শহরের চেয়ে এখন গ্রামাঞ্চলে চলছে বেশি লোডশেডিং। একবার বিদ্যুৎ গেলে ৩/৪ ঘন্টার আগের বিদ্যুৎ আসার খবর নেই বললেই চলে। ফলে এ প্রচন্ড তাপদাহের কারণে দিনে ছোট ছোট কিশোর কিশোরী, বয়স্ক মানুষ বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে। গরমের কারনে ছোট ছোট বাচ্চারা চিৎকার দিয়ে কাঁদছে। এ নিয়ে চরম হতাশ বিদ্যুৎ গ্রাহদের মাঝে, মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল ঠিকই দিচ্ছে। নিদিষ্ট সময়ের বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারলে ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ অফিস। তাদের বিল আদায়ে ম্যালেটারী শাসনের মত থাকলে এখন বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকারে দাঁড়িয়েছে।

০৫ জুলাই, ২০২২।