চাঁদপুর মহাশ্মশান নেশাগ্রস্তদের আড্ডাস্থলে পরিণত

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর মহাশ্মশান নেশাগ্রস্তদের আড্ডাস্থল হিসাবে পরিণত হয়েছে। দাহ করতে আসলে মৃতের পরিবারের কাছে চাওয়া হচ্ছে চাঁদা। এ ধরনের বখাটেদের হাত থেকে রক্ষা পেতে চায় চাঁদপুর শহরবাসী।
চাঁদপুর মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠা হয়েছিল প্রায় শত বছরের বেশি সময় আগে। সাধু পোদ্দার ৪ একর জমি দান করেন। তার উপর মহাশ্মশান প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় শত বছরের পুরনো এ মহাশ্মশানটিতে বর্তমানে কিছু নেশাগ্রস্ত বখাটে যুবক অসামাজিক কার্যকলাপ ও নেশার স্বর্গরাজ্যে পরিণত করছে। ইতোপূর্বে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ এখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকবার বখাটে ও নেশাগ্রস্ত যুবকদের আটকও করেছিল। কিছুদিন এদের বিচরণ শ্মশান এলাকায় বন্ধ থাকলেও এখন আবার শুরু হয়েছে। মহাশ্মশানে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা তাদের ডাক দিলে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।
চাঁদপুর মহাশ্মশান পরিচালনার কমিটি হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে এই বখাটে যুবকরা শ্মশানের ভেতর প্রবেশ করে নেশার স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছিল। চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ এখানে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করেছিল। এখন আবারো তারা একই কর্মকাণ্ড করছে।
তিনি আরো জানান, এরা বর্তমানে কোনো মৃত ব্যাক্তিকে এখানে দাহ করতে নিয়ে আসলে মৃতের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করছে। আমরা হরিবোলা সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি কামনা করছি। যাতে করে এই চক্রটি কোনোভাবে মহাশ্মশানে প্রবেশ করে নেশাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ করতে না পারে। সে ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন- চাঁদপুরের সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ এমনটাই প্রত্যাশা করছে।

১০ জুন, ২০২৪।