জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মতলব উত্তরে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া

বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে
…পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম

মনিরুল ইসলাম মনির
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত মানুষের আশার আলো। সংগ্রামী জনতার প্রেরণার মিনার। বঙ্গবন্ধু আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ ধারণ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর তা করতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল।
ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান ফরাজী রতনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মতলব উত্তর উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম লস্কর, সহ-সভাপতি ও গজরা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ উল্লা প্রধান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেজর জেনারেল সামছুল হকের ছেলে ও শরীফ উল্লাহ হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আনিসুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য লায়ন আলহাজ আরিফ উল্যাহ সরকার, ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য কাজী মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য আতিকুর রহমান, গুলশান থানা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম প্রমুখ।
আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান ইয়ার, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামান সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাড, মহসিন মিয়া মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব অ্যাড. আক্তারুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ অভি প্রমুখ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথম নিপীড়িত বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন একটি ভূখ-, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা। আমরা প্রত্যেকেই যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করি এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করি, তবেই তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। তাই সবাইকে অঙ্গীকার করতে হবে সোনার বাংলা গড়তে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
বঙ্গবন্ধু স্বরণে সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট এ বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আজকের এই দিনে কতোগুলো ক্ষমতালোভী ও বিপথগামী সেনা, কুচক্রী, ঘাতকের নির্মমতার শিকার হন বঙ্গবন্ধু। তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি হত্যা করেছিল জাতির স্বপ্নকে। ইতিহাসের এই ঘৃণিত হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ১০০ বছরে পিছিয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয় সাথে সাথে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল জাতির সভ্যতা, গণতন্ত্র ও সোনার বাংলাকে।

১৯ আগস্ট, ২০২২।