জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় চীনের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ

ইলশেপাড় ডেস্ক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় চীনের সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে দুই দেশ অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারবে বলে আশা করছেন চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। সম্প্রতি কুনমিং শহরে জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলনের ফাঁকে চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন তিনি।
মাহবুব উজ জামান বলেন, চীন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি অংশীদার। আশা করছি, আমাদের চীনা বন্ধুরা বড় পদক্ষেপে এগিয়ে আসবে, বিশেষ করে পরিবেশগত খাতে। কারণ এটি এমন একটি খাত, যা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে।
কপ-১৫ নামে পরিচিত জাতিসংঘের এ সম্মেলন খুবই চ্যালেঞ্জিং সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলে, এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম।
বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের জৈববৈচিত্র্য এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষা ও সংরক্ষণ করতে হবে। মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে পূর্ণ ভারসাম্য এবং সম্প্রীতি থাকতে হবে। একটি বিষয়ে সবাই একমত যে, আমাদের দ্রুত এবং অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। নষ্ট করার মতো আর সময় নেই।
করোনার কারণে এবার দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে কপ-১৫ সম্মেলন। প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর)। সম্মেলনে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এসময় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ১৫০ কোটি ইউয়ান বা প্রায় ২৩ কোটি ডলারের একটি তহবিল গড়ার ঘোষণা দেন তিনি।
ওই তহবিল থেকে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনে হুমকির মুখে থাকা দেশগুলো উপকৃত হবে জানিয়ে মাহবুব উজ জামান বলেন, আমরা অবশ্যই আশা করছি, বাংলাদেশ এই তহবিল থেকে উপকৃত হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়, জলবায়ু পরিবর্তনে হুমকিতে থাকা, উন্নয়নশীল, স্বল্পোন্নত দেশগুলোও এ থেকে উপকার পাবে।
এসময় সুন্দরবনের কথা উল্লেখ করে তিনি আশাপ্রকাশ করেন, দুই দেশ জাতীয় উদ্যান তৈরি ও ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে পারবে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের কথায়, এটি খুবই বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ। আমি নিশ্চিত যে, আমাদের সরকারও চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার চেষ্টা করবে। আমরা অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে ও উপকৃত হতে চাই।

১৮ অক্টোবর, ২০২১।