স্টাফ রিপোর্টার
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে চাঁদপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ মার্চ) সকালে চাঁদপুর জেলা পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে পদ্মা সেতু, স্বাস্থ্যখাতে উন্নত সেবা, গৃহহীনদের জন্য ২ শতক জমি, রাস্তা-ঘাটসহ সকল উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। আর এই উন্নয়নের সুযোগে কেউ কেউ দুর্নীতি করার পরিকল্পনা করছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। ভাল কাজের সাথে সবাইকে থাকতে হবে। আমাদের যার-যার কাজ সঠিকভাবে পালন করতে হবে। তাহলে সমাজের প্রতিটি সেক্টরের উন্নয়ন হবে।
গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, ৫০ বছরের আগের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের অনেক পার্থক্য। সবদিক দিয়ে আজকে উন্নয়ন হয়েছে। সবদিকেই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি রেখেছেন। আমাদের চারপাশে তাকালেই বুঝা যায়, জীবনমান যে কত উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের মধ্যে এখন আত্মসম্মান বোধ জন্ম হয়েছে। কেউ কেউ এইসব অর্জন দুর্নীতির মাধ্যমে ¤øান করতে চাচ্ছেন। তাদের প্রতিহত করতে হবে। এখন রাজাকারের পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী বলেন, শ্রেষ্ঠ সন্তানরা আমাদের দেশ দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বে আমরা সবাই একত্রিতভাবে পাশে আছি। আগামি জাতির নির্বাচনে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে যাওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনবেন। আমি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন কর্মী হিসেবে বলতে চাই নেত্রী যদি আমাকে জেলা পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচন করবো। আর যদি আমাকে না দিয়ে, অন্য কাউকে দেন তাহলে তার পক্ষে কাজ করবো।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম চিশতী।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন আহাম্মদ রাসেলের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, বিএলএফ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মো. হানিফ পাটওয়ারী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মহসীন পাঠান, মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, ফরিদগঞ্জ উপজেলা কমান্ডার শহীদুল্লাহ তপাদার, কচুয়া উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সদর উপজেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম চিশতী। গীতা পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সাধন সরকার।
০৬ মার্চ, ২০২২।
