জেলে নৌকা ছাড়াতে এসে আটক
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় নৌ পুলিশেন অভিযানে জব্দকৃত নৌকা ছাড়াতে এসে আটক তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন সিকদারকে ছাড়িয়ে নিলে পৌরসভার দুই কাউন্সিলর। এ নিয়ে চাঁদপুর শহর ও তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় নানা গুঞ্জন শোনা যায়।
শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকেই চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কবির হোসেনের নেতৃত্বে নৌ পুলিশের একটি দল সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় কয়েকটি জেলে নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত নৌকাগুলোর মধ্যে একটি নৌকা তারপুরচন্ডী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুহুল আমিন সিকদারের। সে তার জব্দকৃত নৌকা ছাড়িয়ে নিতে বেলা ১২টায় নৌ থানায় এসে তদবির করে। একপর্যায়ে রুহুল আমিন মেম্বার নৌ থানায় তার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এসময় নৌ থানার ইনচার্জ কবির হোসেন তাকে আটক করে। আটক হওয়ার ১০ ঘণ্টা পর চাঁদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর সফিকুল ইসলাম ও মহিলা কাউন্সিলর ফরিদা ইলিয়াস এবং কথিত আওয়ামী লীগ নেতা দেলু দর্জি গিয়ে মুচলেখার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
জানা যায়, কথিত আওয়ামী লীগ নেতা দেলু দর্জি বিভিন্ন সময় মা ইলিশ ও জাটকা অভিযানের সময় তার প্রভাব বিস্তার করে জেলে ও নৌকা ছাড়িয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। নৌ থানার অফিসার ইনচার্জের রুমে ব্যবহৃত টেলিভিশনটিতে দেলু দর্জির সৌজন্যে দেয়া। সেই সুবাদে নৌ থানায় গিয়ে তিনি তদবির করে। শুধু তাই নয় দেলু দর্জি ঢাকার দানশীল এক শিল্পপতির চাঁদপুরস্থ প্রতিনিধি দাবি করে নানা অপকর্ম করেন।
চাঁদপুর শহর ও তরপুরচন্ডী ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় গুঞ্জন শোনা যায়, রুহুল আমিন সিকদার তরপুরচন্ডী ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তার অনৈতিক কাজে যেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী প্রশ্রয় দিলেন না, সেখান পৌরসভার দুই কাউন্সিলরের তাকে ছাড়িয়ে নেয়ার বিষয়টা চাঁদপুরবাসী ভিন্ন চোখে দেখছেন।
উল্লেখ্য, রুহুল আমিন সিকদার শরীয়তপুর জেলা সখিপুর থানার চরছেনছাছ ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারীর ভাগিনা।
০৩ নভেম্বর, ২০২০।