পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে চাঁদপুরের ৩ যুবকসহ ৬ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার
পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চাঁদপুরের ৩ যুবকসহ ৬ জনের। গত বৃহস্পতিবার (২ জুন) দিবাগত রাত একটার দিকে মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়ে সড়কে কাভার্ড ভ্যান ও সিএনজি চালিত স্কুটারের সংঘর্ষে স্কুটারের চালক ও যাত্রীসহ ৬ জন মারা যায়।
চাঁদপুরের নিহতরা হলেন- সিএনজি চালিত স্কুটারের যাত্রী চাঁদপুর সদর উপজেলার ইচলী এলাকার কলমতর গাজী বাড়ি এনায়েত উল্লাহ গাজীর একমাত্র ছেলে সামাদ গাজী (২৪), পল্লী বিদুৎ এলাকার আবুল কালামের ছেলে আহাদ (২০) ও একই এলাকার সিফাদ (২০)।
নিহত বাকি তিন জনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে। তারা হলেন- সিএনজি চালিত স্কুটারের চালক মো. তমাল (১৮), যাত্রী নাহিদ হোসেন ফাহিম (২৩) ও জনি মিয়া (২৮)।
এদিকে শুক্রবার (৩ জুন) দুপুরে নিহতদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে ওঠে।
সামাদের চাচাতো ভাই মো. রুবেল বলেন, পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশ্যে তারা ৩ বন্ধু চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যান।
সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকায় তারা আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় তাদের সঙ্গে দুই বন্ধুর একজন উপস্থিত ছিলেন। রাতে বন্ধুদের বাসায় থেকে শুক্রবার পদ্মা সেতু দেখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
কিন্তু ৪ বন্ধু মিলে রাতে সিএনজি অটোরিকশায় করে একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছন পেছন মাওয়া যাওয়া যাচ্ছিলেন। পথে মুন্সিগঞ্জের নিমতলি হাসারা হাইওয়েতে কাভার্ডভ্যানটি গতি কমালে অটোরিকশাটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন দিক থেকে আঘাত করে।
এসময় অটোরিকশায় থাকা পাঁচ যাত্রী ও চালক সবাই ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে ৩ জন চাঁদপুরের আরেকজন বিক্রমপুরের। অপর একজন সাধারণ যাত্রী। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পুলিশের কাছে আবেদন করে নিয়ে আসা হয়েছে।
নিহত সামাদ গাজীর বন্ধু রাব্বি জানান, বৃহস্পতিবার বন্ধুরা ঘুরতে যাবে বলে আমাকে জানিয়েছিল এবং আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল আমি যাব কিনা। প্রথমে আমি যাব বলেছিলাম, কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমি যেতে পারিনি। এরমধ্যে তাদের সঙ্গে কয়েকবার ইমোতে কথা হয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ রাতে এই দুর্ঘটনার খবর পাই।

০৫ জুন, ২০২২।