বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়ছেই
* প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিডের দাম।
* লাভ না আসায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তারা।
* তা নাহলে ছোট খামারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ডিম ও মুরগির দাম দ্বিগুণ হবে বলে মনে করেন তারা।
মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তরে লোকসানের মুখে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খামার। প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির বাচ্চা ও পোলট্রি ফিডের দাম।
কিন্তু সে অনুপাতে লাভ না আসছে না। এই অবস্থায় আমিষের ঘাটতি পূরণে বাচ্চা ও খাবারের দাম কমানোসহ এ খাতে সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন খামারিরা। তা নাহলে ছোট খামারগুলো বন্ধ হয়ে গেলে ডিম ও মুরগির দাম দ্বিগুণ হবে বলে মনে করেন তাঁরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, বাজারে সবকিছুর সঙ্গে বেড়েছে পোলট্রি খাদ্যের দাম। এতে ছোট খামারিরা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ফলে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পোলট্রি শিল্পকে বাঁচাতে পোলট্রি খাদ্যে ভর্তুকি দেওয়া আবশ্যক বলে মনে করেন তিনি।
গত কয়েক দিন মতলব উত্তর উপজেলার বেশকিছু খামার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরও মুরগির কক কক শব্দে মুখর ছিল যে খামারগুলো, সেখানে এখন সুনসান নীরবতা। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে পুষিয়ে উঠতে না পেরে মুরগি কমিয়ে ফেলছেন খামারিরা। কেউবা পুঁজি হারানোর ভয়ে একেবারেই খামার গুটিয়ে নিয়েছেন।
উপজেলার মাথাভাঙ্গা গ্রামের দৌলত হোসেন আবির বলেন, মুরগির খামার করে আর টিকে থাকা যাচ্ছে না।
খামারি আনিছুর রহমান বলেন, প্রবাস থেকে ফিরে মুরগির খামার করছি, এখন পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছি। মুরগির বাচ্চা আর খাদ্যের দামের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না।
মুরগির বাচ্চার দাম এর আগে ২৫ থেকে ৩১ টাকা করে কিনেছি; আর গত শেডে কিনেছি ১ হাজার ৫০০ বাচ্চা, প্রতিটি ৬১ টাকা করে। ২ হাজার ৭০০ টাকার খাদ্য এবার কিনেছি ৩ হাজার ১০০ টাকায়, তাহলে কিভাবে খামার করে লাভবান হব।
বাচ্চা ও খাবারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে পড়েছে। অইেশ খামারি খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।
এদিকে মতলব উত্তর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদটি শূন্য রয়েছে।
২২ মে, ২০২২।