
স্টাফ রিপোর্টার
দিন-দিন দুর্ভোগের শহরে পরিণত হচ্ছে চাঁদপুর। কোনো মৌসুমেই চাঁদপুরবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারছে না। আর শীত করতেই এখন পোহাতে হচ্ছে মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গায় মশা। শীত কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদপুরে বেড়েছে মশার উৎপাত। মশক নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে গত ২০১৯ সালের মতো ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতনমহল।
চাঁদপুরবাসীর অভিযোগ, মশক নিধন কর্মীদের মাঠে দেখা যায় না। ডেঙ্গু যখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল সেসময় মশক নিধন কার্যক্রম দায়সাড়াভাবে পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে তা ঝিমিয়ে পড়েছে।
তবে সচেতনমহল ও ডাক্তাররা বলছেন, শুধু বিশেষ মৌসুম বা নির্দিষ্ট সময়ে ডেঙ্গু বিরোধী তৎপরতা চালালে হবে না। বরং বছরব্যাপী এ কার্যক্রম জোরদার রাখতে হবে।
চাঁদপুর শহরের একাধিক বাসিন্দারা বলেন, সন্ধ্যা হলেই বাড়ছে মশার উপদ্রব। গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই মশার উপদ্রব বেড়েছে। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। ডেঙ্গুর সময় চাঁদপুর পৌরসভা যেভাবে মাঠে নেমেছিল পরবর্তী সময়ে মশক নিধন কর্মীদের আর সেভাবে ওষুধ ছেটাতে দেখা যায়নি। তাদের গতি কমেছে। এই সুযোগে বেড়েছে মশা। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে কোথাও দাঁড়ালেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঘিরে ধরছে। বাসায় তো মশারি ছাড়া টেকাই যায় না।
তারা বলেন, বাসায় কয়েল জ্বালিয়েও রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। হঠাৎ করেই বেড়েছে মশার উপদ্রব। বর্ষায় জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে ধুলা আর এখন মশার অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।
সচেতন মহল ও ডাক্তারদের মতে, শুধু বিশেষ মৌসুম বা নির্দিষ্ট সময়ে মশকবিরোধী তৎপরতা দেখালে হবে না। বরং বছরব্যাপী এ কার্যক্রম জোরদার রাখতে হবে। অনেক দিন ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না থাকায় ড্রেন ও ডোবায় মশা জন্মানোর স্থানগুলোতে পানির অর্গানিক ম্যাটারিয়াল বেড়েছে। মশা জন্মানোর সময় জরুরিভিত্তিতে লার্ভিসাইড ছিটানো না হলে মশার উপদ্রব আরও বাড়বে।
পৌর কর্মকর্তা বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নাগরিকদের সচেতন হওয়া এবং নিজ নিজ বসতবাড়ি, আঙিনা ও এর আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আর নাগরিকদের এডিস মশার প্রকোপ থেকে রক্ষাকল্পে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।