প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে মতলব উত্তরে দিনব্যাপী কর্মশালা

মতলব উত্তর ব্যুরো
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলায় দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগসমূহের বহুল প্রচারে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০টি উদ্যোগের বিষয়ক কর্মশালার সেই ১০টি পয়েন্টকে ১০টি গ্রুপের মাধ্যমে ভাগ করে ওয়ার্কশপ করা হয়।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ১০টি উদ্ভাবনী নিয়ে আলোকপাত করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ পাবেল খান পাপ্পু, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান তপু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবাংন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেব।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, দপ্তর প্রধান, পুলিশ, সাংবাদিক, ইমাম- পুরোহিত ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ ৫০জন অংশ নেন।
কর্মশালায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিনিয়োগ বিকাশ, আশ্রয়ন প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, পরিবেশ সুরক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর অধিকার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক আশরাফুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ১০টি বিশেষ উদ্ভাবনী উদ্যোগ তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন হওয়ার ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো উন্নত হওয়ার ফলে উন্নত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঠিকানাবিহীন মানুষগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের ঠিকানা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মানও বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যেমন আমাদের সোনালি অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ আমাদের সোনালি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও জাগিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের জীবন, সমাজ ও দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে শক্তি যোগাবে।

১৫ জুন, ২০২২।