আবু তালেব সরদার
চারদিকে ঝোপঝাড় জঙ্গল, নেই জনবসতি। জমি আছে কিন্তু পরিত্যক্ত। ফসল হয় না, তাই কৃষকের মুখে হাসি নেই। এমন বিস্তৃর্ণ জঙ্গল পরিষ্কার করে গড়ে তোলা হয়েছে একটি মাছের ঘের। ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের কড়ৈতলী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এই খামারটি তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম কড়ৈতলী মৌজার সিএস ৭২ দাগে হাল বিএস ৭৬ দাগে ৩১ শতক, সিএস ৭১ ও ৭২ দাগের অন্দরে বিএস ৭৫ দাগে ২১ শতক, সিএস ৭৬ দাগে বিএস ৮৬/৮৭ দাগে ৫৩ শতক, বিএস ৮৬ দাগে ৭৫ শতক, বিএস ৮৮ দাগে ১৩ শতক, বিএস ৮৩০ দাগে ৫১ শতক দাগের অন্দরে মোট ২ একর ৪৪ শতাংশ জমি কিনেন। বহু বছর ধরে এই জমিগুলো অনাবাদী ও পরিত্যক্ত পড়ে থাকায় এবছর ২ একর ৪৪ শতাংশ জমির ওপর চারদিকে মাটির বেড়া দিয়ে তিনি মাছের ঘের তৈরি করার প্রস্তুতি নেন।
মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মৎস্য খাতে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বেকার মানুষ উদ্যোক্তা হবে, দারিদ্র্য দূর হবে, উন্নত সোনার বাংলায় সত্যি সত্যি পরিণত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে পরিণত হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। সেদিক লক্ষ্য করে আমি আমার নিজ পরিত্যক্ত জমিতে মৎস্য খামার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি।
কিন্তু আমার এলাকার ভূমিদস্যু আব্দুল মন্নান, আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুল হান্নান গংরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অজুহাতে প্রশাসন দিয়ে আমার মৎস্য খামার তৈরিতে বাঁধা দিয়ে আসছে এবং এই খামারটি দখল করার পাঁয়তারা করছে। এই জমির প্রকৃত মালিক আমি। ভূমিদস্যু আব্দুল মন্নান গংদের অসৎ উদ্দেশ্য থেকে পরিত্রাণের জন্য আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম আরো বলেন, এ ধরনের পরিত্যক্ত জমি ফেলে না রেখে তার সদ্ব্যব্যবহার করে মাছের ঘের তৈরি করা উচিত। এতে একদিকে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অন্যদিকে আয়ের পথ খুঁজে পাবে খামারের মালিক।
পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দা একজন বলেনম আমাদের এখানে এই মৎস্য খামারটি একটি দৃষ্টান্ত। খামারটি দেখে ইতোমধ্যে আমিও একটি মাছের ঘের তৈরি করেছি। আশা করি মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদের মত এলাকার বেকাররা এভাবে পরিত্যক্ত জমিতে মাছের ঘের করলে অবশ্যই লাভবান হতে পারবে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।