অভিযুক্ত ৪ ধর্ষক আটক
নারায়ন রবিদাস

ফরিদগঞ্জে শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে কৌশলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় দলবেঁধে ধর্ষণ করেছে সিএনজি স্কুটার ও ইজিবাইক চালক ৬ যুবক। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে। উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, ১১ জানুয়ারি বিকালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীটি বুকের ব্যাথার ঔষধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইক চালক টিটু কৌশলে তার ইজিবাইকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পার্শ^বর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হলে টিটু ও তার সহযোগী আইটপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে সিএনজি স্কুটার চালক শিপন, একই গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ কালুর ছেলে সিএনজি স্কুটার চালক মিজানুর রহমান রিপন ও মালেক সর্দার নামে গ্রাম পুলিশের এক সদস্যের সহযোগিতায় ৬ জন মিলে সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর তৃতীয় দফায় একটি বাগানে নিয়েও রিপনসহ কয়েক যুবক পুনরায় কিশোরীটিকে ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে কিশোরটিকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরটি পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা জানায়। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালীরা। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে বের হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে টিটু (২০), শিপন (২৫), রিপন (৪৫) ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মালেক সর্দারকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার শিকার কিশোরীটির মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন জানান, সোমবার রাতে ঘটনাটি শোনার পর রাতেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকি দুই জনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিশোরীটিকে উদ্ধার করে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপের জন্য ও আটকদের চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০ জানুয়ারি, ২০২১।