ফরিদগঞ্জে বন্ধুকযুদ্ধ নিহতের ঘটনায় দুই মামলা

ডাকাতের পরিচয় মিলেছে

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে পুলিশের সাথে অস্ত্রধারী ডাকাত দলের সাথে পুলিশের বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোসেন প্রেস ব্রিফিং করে নিহত ডাকাতের পরিচয় তুলে ধরেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, সোনাগাজী থানার ওসি মঈন উদ্দিনের কাছ থেকে ডাকাতের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহত ডাকাতের নাম আব্দুল হাই ওরফে মিয়া ওরফে মিয়া ডাকাত (৪৮)। তার বাড়ি ফেনীর জেলার সোনাগাজী উপজেলার সফরপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে সোনাগাজী থানায় ৪টি মামলা ও ফেনী সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধশত ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে এই দু’টি মামলা করেন। এগুলো হলো অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইন ১৯-ধ/১৯(ভ) ধারায় মামলা নং-৩৭, তাং- ২৯/১০/২০১৯। এই মামলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত অজ্ঞাতনামা ডাকাতসহ আরো অজ্ঞাত ডাকাতদের আসামি করা হয়েছে।
অপর মামলাটি বেআইনি জনতাবদ্ধে সরকারি কাজে বাঁধাদান, আক্রমন করে সাধারণ ও গুরুতর জখম করা, হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ১৪৩/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোডে মামলা দায়ের হয়। মামলা নং-৩৬, তাং- ২৯/১০/২০১৯। এসময় ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, আমরা ডাকাতির ঘটনায় আগেরদিন দায়ের করা মামলা ও মঙ্গলবার দিন দায়ের হওয়া দুটি মামলা তদন্ত করছি। আশা করছি দ্রুত ডাকাতির ঘটনার তথ্য উদযাটন করতে সমর্থ হবো।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহাপুর গ্রামের তিন ঘরে ডাকাতির ঘটনার পরদিন সোমবার রাতে ডাকাত দল আবারো এই এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ডাকাত নিহত হয়। এসময় পুলিশের এক সহকারি উপ-পরিদর্শক ও দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪ রাউন্ড কার্তুজ, দেশীয় তৈরি একটি পাইপগান ও চাপাতিসহ দেশিয় বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়।