নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হালিমা খাতুন (৭৫) খাতুনের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ আ. আউয়াল কালু (৬০) নামে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় মামলা দায়েরের পর রাতেই ওই অভিযুক্তকে আটক করে। পরে বুধবার দুপুরে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করে।
জানা গেছে, পশ্চিম চরদুঃখিয়া গ্রামের জবেদ উল্ল্যা ও আ. আউয়াল কালু গংদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে চলতি বছরের ১৮ জুলাই জবেদ উল্ল্যা গংদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় জবেদ উল্ল্যা ও তার মা হালিমা খাতুনসহ ওই পরিবারের ৭জন আহত হয়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি আসলে গত ১০ আগস্ট দুপুরে পুনরায় তাদের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। ঐ হামলায় জবেদ উল্ল্যা, মা হালিমা খাতুন, ভাই আমিন উল্লাহ, ভাবি সাহিদা বেগম, ভাতিজা মনজুর হোসেন, ভাতিজি শারমিন আক্তার, নাজমিন আক্তার ও খালা আলিমের নেছা আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ আগস্ট সকালে হালিমা খাতুন মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ বিকালে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ উদ্ধার করে চাঁদপুর প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে জবেদ উল্ল্যা মাস্টার বাদী হয়ে সন্ধ্যায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ রাতেই একজনকে আটক করে।
জবেদ উল্ল্যা জানান, চলতি বছরের ১৮ জুলাই হামলার ঘটনায় আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি। সেই মামলা দায়েরের পর তারা আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। পরে আমার মা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, মামলা দায়েরের পর একজনকে আটক করে বুধবার চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০ আগস্ট, ২০২০।