নারায়ন রবিদাস
এক বছর আগের ঘটনা উল্লেখ করে দায়েরকৃত মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারসহ ২১ নেতা। গতকাল সোমবার চাঁদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামানের আদালনে হাজির হয়ে উল্লেখিত নেতারা জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি চাঁদপুর আমলী আদালতে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি, ১ মে এবং ১ ডিসেম্বর এই তিনটি তারিখের কথা উল্লেখ করে বর্তমান এমপির অনুসারী সোহাগ হোসেন নামে একই যুবলীগ কর্মী উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ২২ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে হয়রানি করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করার অপচেষ্টা চলছে। এরই জের ধরে এই মামলা। এক বছর আগে সেদিন কি ঘটেছিল তা সবার কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
মামলায় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. শেখ মো. জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্তি পিপি অ্যাড. সাইয়েদুল ইসলাম, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, অ্যাড. বদিউজ্জিামান কিরণ, অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু, অ্যাড. আহসান হাবিব, অ্যাড. আমির উদ্দিন মন্টু, অ্যাড. হুমায়ুন কবির, অ্যাড. মাহবুবসহ অর্ধ শতাধিক আইনজীবী আসামি পক্ষে আদালতে দাঁড়ান।
এর আগে পুলিশ শনিবার রাতে মামলার এক আসামি ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হোসেনকে আটক করে। পরে রোবাবর আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুজন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছারুল আলম কামরুল, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দীন ইরান ভূঁইয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সহিদুল্লা তপদারের ছেলে শরীফ তপদার, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান ভদ্র, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর জামাল উদ্দীন, বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম হারুন, যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন রুবেল প্রমুখ।
