ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সিলগালা

ইল্শেপাড় রিপোর্ট
ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করেছে। এছাড়া ফরিদগঞ্জ ১টি হাসপাতালকে ৩০ হাজার টাকা ও শাহরাস্তিতে ২টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ফরিদগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ জানিয়েছেন, ফরিদগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে দুই হাসপাতালের একটি সিলগালা করেছে এবং অপর একটি সিলাগালা করার পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন্নাহার ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ইসলামিয়া হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকায় সিলগালা এবং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া বাজারস্থ স্কয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে লাইসেন্স না থাকায় সেটিকেও সিলগালা করে দেয়া হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল রানা, ডা. মাকসুদুল হাসান, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম ও ফরিদগঞ্জ থানার এএসআই কামালের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে শাহরাস্তি প্রতিনিধি রাফিউ হাসান হামজা জানান, সোমবার দুপুরে শাহরাস্তি পৌরসভার কালিয়াপাড়া বাজার এবং উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের আয়নাতলী বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত অভিযান পরিচালনা করে ২টি অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা ও ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গ্রীণ ভিউ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ভিআইপি কন্সাল্টেশন সেন্টারের লাইসেন্স না থাকায় তাদের মোবাইল কোর্টের তফসীলভুক্ত আইন ২০০৯ এর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২৭ ধারা মোতাবেক ০৩/২০২৪ নং মামলায় এই রায় দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাসির উদ্দিন বলেন, স্বাস্থ্য নীতিমালা উপেক্ষা, অযোগ্যতা, অদক্ষতা দিয়ে কোন হাসপাতাল চলতে পারে না। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্যই আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পুরো উপজেলায় ব্যবস্থাগ্রহণ করছি। যার অংশ হিসেবে দুটি অনিবন্ধিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় সীলগালা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াসির আরাফাত বলেন, উপজেলার সর্বত্র নিয়মিত অভিযান চলবে এবং ত্রুটিযুক্ত, অনিয়ম ও অনুমোদনহীন সব প্রকার ল্যাব, ক্লিনিক, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সারোয়ার হোসেন, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ফায়দুল্যা মিঞা ও শাহরাস্তি থানার এসআই মো. আতোয়ার রহমান।

২৩ জানুয়ারি, ২০২৪।