মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজেসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৩২নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক কমিশনার আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দের জানাযা ও তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ জুলাই) বাদ জোহর বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে এ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মরহুম আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দের কফিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ স্থানীয়রা। এর আগে কলেজ মসজিদের মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জানাযার ইমামতি, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মাও. নূর মোহাম্মদ।
কলেজের আয়োজনে মরহুম আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দের জানাযা, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাতে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বিল্লাল হোসেন মজুমদার, পারভেজ মজুমদার নিশাদ, হাজী মো. কামাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটন, মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম লিয়াকত হোসেন, কাজী নাসির উদ্দিনসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মাহমুদ হোসেন, বলাখাল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাজের লিটন ভূঁইয়া, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তসলিম আলম মজুমদার শিশির, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক এম সাখাওয়াত হোসেন, মো. শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মরহুম আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দের ছেলে মো. ফারুক মহসিন বাবুল, খাজা মঈনুল হাসান যাকি, খাজা মঈনুল হোসেন আরিফসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের বড় ছেলে মো. ফারুক মহসিন বাবুল জানান, রাজধানীর আরামবাগ বালুর মাঠে প্রথম জানাযা, বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা ও গ্রামের বাড়ির রাজারগাঁও আহমেদাবাদ (রামরা) গ্রামে তৃতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, রোববার বিকালে আলহাজ মকবুল আহমেদ আখন্দ বার্ধক্যজনিত কারণে রাজধানীর আরামবাগের নিজ বাসায় মারা যান। তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের আহমেদাবাদ (রামরা) গ্রামের আখন্দ বাড়ির বাসিন্দা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৮০ বছর। তিনি ৩ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সোমবার বিকালে গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
০৫ জুলাই, ২০২২।
