মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে কঠোর লকডাউন অমান্য করে বসে ছাগলের হাট। লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বসেছিল এই ছাগলের হাট। মহামারি করোনাকালে ও কঠোর লকডাউনে ওই হাটে আগত ক্রেতা-বিক্রেতারা মুখে মাস্ক না পরে অবাধে চলাচল করেন। খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে হাটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান শতাধিক ছাগলের ব্যবসায়ী ও কৃষক। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬ মামলায় ৬ জনকে পৃথক পৃৃথকভাবে নগদ মোট ১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা এবং মহামারি করোনাকালে কঠোর লকডাউন মানার নির্দেশনা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নিজেদের এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজার প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। তাই চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও এদিন সকাল থেকেই জমে উঠে ছাগলের হাট। একই সাথে হাঁস-মুরগি, আম-কাঁঠালসহ অন্যান্য ফল ও পান-সুপারী, চারাগাছসহ ফুটপাতে বিভিন্ন দোকান বসে। কিন্তু বাজারে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না এবং নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ।
পরে বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বাকিলা বাজারে উপস্থিত হয়ে ছাগলের হাট বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি বাজারের ইজারাদার আব্দুল খালেককে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে সাপ্তাহিক হাটে গরু ও ছাগলের বাজার বসানো যাবে না এবং মাছ-তরকারি বাজার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসাতে হবে।
২৬ জুলাই, ২০২১।