বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হাজীগঞ্জের সন্না গ্রামবাসী

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের সন্না গ্রামের লোকজন একটি বানরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। গত একমাস যাবৎ গ্রামবাসী বানরের যন্ত্রণার শিকার হলেও এর কোনো সমাধান হচ্ছে না। তবে মানুষকে যন্ত্রণা দিলেও এখন পর্যন্ত বানরটি কাউকে আঘাত করেছে, এমন খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, মধ্যবয়স্ক বানরটি কোথা থেকে এ গ্রামে এসেছে তা কারো জানা নেই। রাত-দিন প্রতিনিয়ত মানুষের বাড়িঘরে বিচরণ করে থাকে। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি, এক গাছ থেকে অন্য গাছ, সারাক্ষণ দৌড়াদৌড়ি করেই চলছে বানরটি। গাছের ফল আধা-পাকা হলেই সে আপন মনে খেয়ে নেয়।
এছাড়া শিশুদের দেখলেই বানরটি ছুটে আসে। এতে শিশুরা সবসময় ভয়ে অতিষ্ঠ থাকে। টিনের চালে দৌড়াদৌড়ি করে মানুষের রাতের ঘুম হারাম করে। তার ভয়ে রাত-বিরাতে অনেক মানুষ ঘর থেকেও বের হতে ভয় পাচ্ছে। দিনের বেলায় খাবার জাতীয় কোনো কিছু রোদে দেওয়া যাচ্ছে না। সবসময় পাহারায় থাকতে হয়। হঠাৎ করে এসে ছোঁ মেরে খাবার নিয়ে যায়। দিনে দিনে তার উৎপাত বেড়েই চলছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসী। আবার বানরটিকে নিয়ে দুষ্টু কিশোর-যুবকেরা খেলায় মেতে উঠে। তাকে দেখলেই অনেকে খাবার দেয়, তখন সে দৌড়ে এসে খাবার নিয়ে গাছে উঠে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মোল্লা লিটন জানান, বানরটির কারণে বাড়িতে গাছের কোনো ফল খেতে পারি না। ফল পাকার আগেই সে খেয়ে নেয়। সারাদিন এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি, এক গাছ থেকে আরেক গাছে ছুটে বেড়ায়। অর্থাৎ সে বিরামহীন রাজত্ব করেই যাচ্ছে।
একই গ্রামের বাসিন্ধা সমীর বর্ধন জানান, রাতে বিকট শব্দ করে ঘরের চালে হাঁটাহাঁটি করে। এতে ঘুম ভেঙে যায়। আবার অনেক সময় ভয়ে রাতে-বিরাতে ঘর থেকে বের হতে পারি না।
এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, বানরটি স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ধরে দিলে আমরা কুমিল্লার লালমাই বন বিভাগের উদ্যানে ছেড়ে দিতে পারি। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বানরটি ধরতে হলে ঢাকা থেকে লোক আনতে হবে। যা কিছুটা ব্যয়বহুল।

১২ এপ্রিল, ২০২৩।