স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর-সিলেটের মধ্যে চলাচলকারী সততা পরিবহনের বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। এতে বাসে থাকা ৫ জন যাত্রী আহত হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক ডাকাত আটক করা হয়েছে। আহত এক যাত্রী কুমিল্লার কুচাতলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় বাসে থাকা ৪৫ জন যাত্রীর প্রায় ১০ লাখ টাকার জিনিসপত্র ডাকাত দল নিয়ে যায়।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সিলেট থেকে বাসটি চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাধিকা এলাকায় আসার পরে বাসে যাত্রীবেসে থাকা ৭ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
আটক আনোয়ার হোসেনকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে বাসের লোকজন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আনেয়ার হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর উপজেলার হরেশপুর গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।
সততা পরিবহনের সুপারভাইজর আব্দুল ওহাব বলেন, সিলেট থেকে রাত ১১টায় বাসটি ছাড়ার সময় অন্যান্য যাত্রীদের সাথে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৩ জন এবং পৃথকভাবে ৪ জন টিকিট কেটে ৭ জন যাত্রী হিসেবে বাসে উঠে। বাসটি ছাড়ার প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাধিকা নামক স্থানে আসলে চালককে তার আসন থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে আটক ডাকাত আনোয়ার হোসেন চালকের আসনে বসেন। ঠিক এই সময়ে তাদের সাথে থাকা বাকি ৬ ডাকাত সদস্য আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে সব যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট শুরু করেন। ডাকাতদের হামলায় এই সময় ৪ থেকে ৫ জন যাত্রী কম-বেশি আহত হয়। আহতদের সবাই কুমিল্লার যাত্রী। এর মধ্যে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় কুচাতলী হাসপাতালে ভর্তি হন।
বাসের চালক সালাউদ্দিন বলেন, যখন ডাকাতি হচ্ছিলো ঠিক ওই সময় বাসের পিছন দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস বার-বার হর্ণ দিয়ে আসছিলো।
ডাকাত সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন মনে করে উজানিসা নামক স্থানে বাস থেকে দ্রুত লাফিয়ে পড়ে এবং চালকের আসনে বসা আনেয়ার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লে তার পা ভেঙে যায়। পরে যাত্রীরা নেমে ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আনোয়ারকে আটক করে বাসে চাঁদপুরে নিয়ে আসে।
চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি যেহেতু অন্য জেলায় আমরা সংশ্লিষ্ট থানার সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। আটক ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।