ব্রিটিশ রানী এলিজাবেথের ১৮টি বিশেষ ক্ষমতা


ইলশেপাড় রিপোর্ট :
রানী এলিজাবেথের ১৮টি বিশেষ ক্ষমতা আছে, যা পৃথিবীর অন্য কোন ব্যক্তির নেই। ব্রিটিশ উপনিবেশিক থেকে মুক্ত হলেও আজো সেই দেশগুলো রানীকে সম্মান করে থাকে। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে বড় হলেও সম্মানের দিক দিয়ে রানী ও তার পরিবার সবার উপরে।
ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের ১৮টি বিশেষ ক্ষমতা নিচে দেয়া হলো-
(১) রাজ পরিবারের বাকি সদস্যদের পাসপোর্ট থাকলেও রানীর কোন পাসপোর্ট নেই। পাসপোর্ট ছাড়াই যে কোন জায়গায় যাতায়াত করার ক্ষমতা একমাত্র রানী এলিজাবেথের আছে।
(২) একমাত্র ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের গাড়ি চালানোর জন্য কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার হয় না।
(৩) রানীর দু’টি জন্মদিন পালিত হয়। একটি নিজের আর একটি অফিশিয়াল। নিজের জন্মতারিখ ২১ এপ্রিল। অফিশিয়াল যেটি পালিত হয় সেটি জুন মাসের যে কোন একটি শনিবারে।
(৪) রানী এলিজাবেথের একজন ব্যক্তিগত কবি আছেন, যিনি রানীকে নিয়ে কবিতা লিখেন।
(৫) রানীর নিজস্ব এটিএম মেশিন আছে। রাজ পরিবারের কেউ এই মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে রানীর অবশ্যই অনুমতির দরকার আছে।
(৬) টেমস নদীতে যে কয়েকটি হাঁস আছে, সবগুলোই রানীর পোষ্য।
(৭) ব্রিটেনের জলাশয়ে যে ক’টি ডলফিন আছে সবগুলোই রানী এলিজাবেথের।
(৮) নাইটস এবং লর্ডদের নির্বাচন করার ক্ষমতা একমাত্র রানীর।
(৯) রানীকে কর দিতে হয় না।
(১০) রানীর অনুমতি স্বাক্ষর ছাড়া ব্রিটেনের কোন আইন পাস করা হয় না।
(১১) রানী এবং তার পরিবারের নিজেদের কোন কথা বাইরে বলতে বাধ্য নন।
(১২) ইংল্যান্ডের সরকার গঠনের ক্ষমতা একমাত্র রানীরই আছে।
(১৩) সাংবিধানিক সংকটের সময় মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে ‘ভেটো’ জারি করার ক্ষমতা আছে রানীর।
(১৪) রানী এলিজাবেথ অস্ট্রোলিয়ারও রানী।
(১৫) ব্রিটেন ও অস্ট্রোলিয়ার পাশাপাশি রানী এলিজাবেথ কমনওয়েলথের দেশগুলোরও রানী। যেমন- বার্বাডোস, জ্যামাইকা, পাপুয়া নিউগিনি, সেন্টলুসিয়া ইত্যাদি।
(১৬) চার্চ অফ ইংল্যান্ডের প্রধান রানী এলিজাবেথ।
(১৭) অস্ট্রোলিয়ার গোটা সরকারকে এক লহমায় বরখাস্ত করার ক্ষমতা রাখেন রানী এলিজাবেথ।
(১৮) পৃথিবীর কোন আদালত ইংল্যান্ডের রানী এলিজাবেথের বিচার করার ক্ষমতা রাখে না।