স্টাফ রিপোর্টার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে জেলেদের হামলার ঘটনায় সখিপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলার ঘটনায় নিখোঁজ মৎস্য বিভাগের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী আব্দুল বারেক মিয়াকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র চায়না রাইফেল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পদ্মা নদী থেকে মা ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। এ তথ্য জানতে পেরে শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে অভিযানে নামেন উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মী ও পুলিশ সদস্যরা। তারা একটি স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে গেলে মরিছাকান্দি এলাকায় জেলেরা তাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় তাদের বহনকারী স্পিডবোট উল্টে নদীতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করেন।
জেলেদের হামলায় মৎস্য বিভাগের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিএম খালী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ওমর আলী, মাঠক্ষেত্র সহকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস, সখিপুর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ও পুলিশ সদস্য মেহেদি হাসান আহত হন। আর মৎস্য বিভাগের মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মী আব্দুল বারেক নিখোঁজ হন।
এ সময় পুলিশের দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র (চায়না রাইফেল) খোয়া যায়। ঘটনার পর রাতেই একটি উদ্ধার করা হয়। ঢাকা থেকে ডিবুরি এনে নদীতে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ওই অস্ত্রটি ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সখিপুর থানার ওসি আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
১১ অক্টোবর, ২০২১।